রতুয়ায় গঙ্গাভাঙন রোধের কাজ, স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস বিধায়কের

গঙ্গায় তলিয়ে যাচ্ছে ভিটেমাটি। অসহায় মানুষের চেয়ে দেখা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। আতঙ্ক গ্রাস করছে ভাঙন-কবলিত বাসিন্দাদের মনে

Must read

প্রতিবেদন : গঙ্গায় তলিয়ে যাচ্ছে ভিটেমাটি। অসহায় মানুষের চেয়ে দেখা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। আতঙ্ক গ্রাস করছে ভাঙন-কবলিত বাসিন্দাদের মনে। কোথায় মোদির গ্যারান্টি? গঙ্গাভাঙন রুখতে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি কেন্দ্র। সীমিত ক্ষমতার মধ্যে যেটুকু করার করছে রাজ্য সরকারই। এবারও বর্ষায় যখন ভাঙন-আতঙ্ক গ্রাস করেছে মানুষের মনে, সেচ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে মালদহের রতুয়া এলাকা পরিদর্শন করলেন তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। ভাঙন-রোধে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিলেন অবিলম্বে। আশ্বস্ত করলেন মানুষকে।

আরও পড়ুন-দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেই এবার জেব্রার আগমন মহানগরে

কেন্দ্র গঙ্গাভাঙন-রোধে সামান্য কোনও উদ্যোগও নেয়নি। বিজেপি সাংসদকে দেখাই যায় না এলাকায়। শুধু ভোটের সময় আসেন। ভোট ফুরোলেই ডম্বুরের ফুল। এবারও বর্ষায় গঙ্গার জলস্তর বাড়তেই আতঙ্কে ঘুম উড়েছে রতুয়ার মহানন্দাটোলা, কান্তুটোলা, মুলিরামটোলা, বীরুটোলা এবং জিত্তুটোলা-সহ বহু গ্রামের হাজার হাজার মানুষের।

আরও পড়ুন-মত্ত অর্ধনগ্ন নেতাপুত্রের মারাঠি মহিলার সঙ্গে অভব্য আচরণ, পুলিশের দ্বারস্থ ইনফ্লুয়েন্সার

রতুয়া ১ ব্লকের মহানন্দতোলা জিপি এলাকার ভাঙন-কবলিত অঞ্চলটি বাংলা-বিহার সীমান্ত থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মূলত উপরিউক্ত পাঁচটি গ্রামের মধ্যে মুলিরামতোলা, জিত্তুটোলা এবং বীরুটোলা নামে তিনটি পয়েন্টে ইতিমধ্যেই ৩০০ মিটার জুড়ে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে রাজ্যের সেচ দফতর। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেখানে কাজ চলছে। বিহার সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় সেচ বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে পরিদর্শন করেন। ৯৯৪ মিটার দীর্ঘ বাঁধে ভাঙন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরুর কথা জানান। স্থায়ী ভাঙন-রোধের জন্য ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেও তিনি মানুষকে আশ্বস্ত করেন। অবিলম্বে সেই কাজ শুরু হবে। রাজ্য সরকার মানুষের পাশে রয়েছে।

Latest article