ভুয়ো মেডিক্যাল কলেজের অনুমতির বিনিময়ে মন্দির রাজস্থানে!

Must read

প্রতিবেদন: মেডিক্যাল কলেজ অনুমতি কেলেঙ্কারির তদন্তে একের পর এক উঠে আসছে নানা বিস্ফোরক তথ্য। অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি, ঘুষ হিসেবে রাজস্থানে তৈরি করিয়ে নেওয়া হয়েছিল আস্ত একটি মন্দির। পরিদর্শকদের নাম আগেভাগে ফাঁস করে দেওয়ার বিনিময়ে ঘুষ হিসেবে এই মন্দির তৈরি করিয়ে নেওয়ার উঠেছে মেডিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড রেটিং বোর্ডের প্রাক্তন সদস্য জিতুলাল মিনার বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সির এফআইআরে রয়েছে মিনার নাম। এখানেই শেষ নয়, আরও চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে সরকারি অনুমোদন-প্রত্যাশী মেডিক্যাল কলেজের পরিদর্শনকে কেন্দ্র করে। কলেজ কর্তৃপক্ষকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হত, পরিদর্শনের তারিখ এবং পরিদর্শক দলে কে কে থাকবেন। সেইমতো যাবতীয় জালিয়াতির ছক সাজাত সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। পাঠিয়ে দিত আগাম ঘুষ। কেমন করে? ভুয়ো মেডিক্যাল কলেজে ভুয়ো চিকিৎসকদের উপস্থিতি প্রমাণ করতে বায়োমেট্রিক মেশিনে ছাপ দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল ক্লোন করা কৃত্রিম আঙুল। ভাবখানা এই, পর্যাপ্ত সংখ্যার চিকিৎসক আছে ওই মেডিক্যাল কলেজে। দুর্নীতির আরও আছে বাকি। ভুয়ো রোগীও সাজিয়ে আনা হত মেডিক্যাল কলেজে। আর সেই ভুয়ো রোগীর জোগানদারের ভূমিকা নিতেন অন্ধ্রের কাদিরির এজেন্ট বি হরিপ্রসাদ এবং হায়দরাবাদের অঙ্কম রামবাবু। এই দুর্নীতির মূল মাথা হিসেবে সিবিআই চিহ্নিত করেছে ইন্দোরের ইনডেক্স মেডিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান সুরেশ সিং ভদৌরিয়ার বিরুদ্ধে। এফআইআরও হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুরগাঁও থেকে শুরু করে দক্ষিণের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়া দেশের বৃহত্তম এই মেডিক্যাল কলেজ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে স্বঘোষিত গুরু রবিশঙ্কর মহারাজা ওরফে রাওয়াতপুরা সরকারেরও।
তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি করা হয়েছে, সারাদেশে মোট ৪০টি মেডিক্যাল কলেজ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের অফিসারদের ঘুষ দিয়ে ভুয়ো তথ্য পেশ করে আদায় করেছে ছাড়পত্র। অথচ বাস্তবে ডাক্তারি শিক্ষার উপযোগী কোনও পরিকাঠামোই নেই ওই মেডিক্যাল কলেজগুলোতে। এই ধরনের দুর্নীতির লক্ষ্য একটাই, পড়ুয়াদের ভর্তি করে মোটা টাকা পকেটস্থ করা। এখনও পর্যন্ত ৩৪ জনের নামে এফআইআর করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি। এর মধ্যে রয়েছেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের কয়েকজন সদস্যও। রয়েছেন কয়েকজন চিকিৎসকও। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ঘুষের টাকা লেনদেন হত হাওয়ালার মাধ্যমেও। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারের সংখ্যা ৮।

আরও পড়ুন-লজ্জা! ডাইনি সন্দেহে পিটিয়ে-পুড়িয়ে মারা হল একই পরিবারের ৫ জনকে

Latest article