প্রতিবেদন : ছাব্বিশের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বাংলার মসনদে ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। বিজেপিকে তিরিশের নিচে নামিয়ে দিন, যাতে বিরোধী দলনেতা বলে কিছু না থাকে। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে এবার লক্ষ্য হবে ১৬-তে ১৬। কিন্তু কোনও মতেই ১৪-এর নিচে নামা যাবে না। শুক্রবার বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে দাঁড়িয়ে এই আহ্বান জানালেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। একুশে জুলাইয়ের সমর্থনে আয়োজিত ভিড়-ঠাসা সভায় কুণাল ফের মনে করিয়ে দেন একুশে জুলাইয়ের তাৎপর্য, নেত্রীর অবদান ও সিপিএমের লাগামহীন সন্ত্রাসের কথা।
তিনি (mamata banerjee) বলেন, ভুললে চলবে না, আজ আমাদের যে সচিত্র ভোটার কার্ড রয়েছে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান। ১৪ জন শহিদের রক্তের বিনিময়ে তা আমরা পেয়েছি। সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যুব কংগ্রেসকর্মীরা মহাকরণ দখল করতে যায়নি। সিপিএম মিথ্যে প্রচার করে। সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মারা হয়েছিল, ভেঙে দেওয়া হয়েছিল মঞ্চ। মাইকের তার কেটে দেওয়া হয়। এমনকী তাঁকে খুন করার চেষ্টাও হয়েছিল। কিন্তু আমাদের নেত্রীকে দমানো যায়নি।
আরও পড়ুন- প্রতিবেশীদের কটাক্ষ, টেনিস খেলোয়াড় মেয়েকে খুন! ধৃত বাবা
সিপিএমের সন্ত্রাসের ইতিহাস মনে করিয়ে দিয়ে কুণাল বলেন, এই প্রজন্মের কাছে সিপিএমের আসল রূপ তুলে ধরতে হবে। বিজেপি নারীদের সম্মান নিয়ে বড় বড় কথা বলছে। ওরাই মেয়েদের সম্মান করে না। বাংলার মানুষকে সম্মান করে না। বাজকুল কলেজে এক ছাত্রীকে মারা হল। অভিযুক্ত একজন এবিভিপি কর্মী। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছি। এরাই আবার নারী সুরক্ষা যাত্রার নামে নাটক করছে!
সামনে আরও একটা একুশে জুলাই। কুণাল বলেন, আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের সৈনিক। এই সরকার অনেক ভাল ভাল কাজ করছে। সেগুলোর প্রচার করুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে থাকুন। যাঁরা সরে গিয়েছেন তাঁদের কাছে টেনে নিন। একুশে জুলাই সবাই ধর্মতলা চলুন। তৈরি হোক জমায়েতের নতুন নজির।