তিন দিনের জীবন-মরণের লড়াইয়ে ইতি ওড়িশার নির্যাতিতার

হাসপাতাল সূত্রে খবর, তরুণীকে বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন চিকিৎসকরা। তাঁর বৃক্কতন্ত্র প্রতিস্থাপনেরও ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় নি।

Must read

প্রশাসনের ব্যর্থতার প্রতিবাদের মুখ হয়ে রইলেন তিনি। মৃত্যুর সঙ্গে তিন দিন লড়াইয়ের পর অবশেষে সোমবার রাতে ভুবনেশ্বর (Bhubaneshwar) এমসেই মৃত্যু হল ওড়িশার নির্যাতিতার। সোমবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয়েছে সেই নির্যাতিতার। এই দিনই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তরুণীকে বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন চিকিৎসকরা। তাঁর বৃক্কতন্ত্র প্রতিস্থাপনেরও ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় নি।

আরও পড়ুন-গ্রেফতার বালেশ্বর কলেজের অধ্যক্ষ

পয়লা জুলাই নিজের বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা অভিযোগ তুলে এই ছাত্রী লিখিত ভাবে কলেজের অভ্যন্তরীণ অভিযোগগ্রহণ কমিটির কাছে জমা দিয়েছিলেন। সেই অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছিলেন, মাসের পর মাস তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগই সাড়। বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এরপর সহপাঠীদের নিয়ে বিক্ষোভে নামেন নির্যাতিতা।

আরও পড়ুন-চেনা ছন্দে ফিরতে চান সিন্ধু-লক্ষ্য, আজ শুরু জাপান ওপেন

সেই প্রতিবাদেও কর্ণপাত হয় না। অবশেষে গত শনিবার কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করেন তিনি এবং তারপর অধ্যক্ষের ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ক্যাম্পাসে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন নির্যাতিতা। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ হন এক পড়ুয়া। দু’জনকেই তড়িঘড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা তখনই জানিয়ে দিয়েছিলেন বাঁচানো কতটা সম্ভব হবে, সেই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ৯৫ শতাংশ দেহ পুড়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে শনিবারই তাঁকে ভুবনেশ্বর এমসে স্থানান্তরিত করা হয়। অবশেষে সোমবার রাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

Latest article