প্রতিবেদন : বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলা ও বাঙালি-বিদ্বেষের প্রতিবাদে আজ রাজপথে নামছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কলেজ স্ট্রিট থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত এই মেগা প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হবেন হাজার হাজার মানুষ। দলের নির্দেশ অনুযায়ী, কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, সল্টলেক, দমদম এবং ভাঙড় অঞ্চলের দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা এদিন পথে হাঁটবেন নেত্রীর সঙ্গে। যেভাবে লাগাতার বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালি শ্রমিকদের উপর অত্যাচার এবং বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে তার প্রতিবাদে ঝড় তুলবে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
শুধুমাত্র কলকাতাতেই নয়, বেলা ২টো থেকে ৪টে পর্যন্ত সারা রাজ্যজুড়েই হবে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি। দিল্লি, রাজস্থান, ওড়িশার পাশাপাশি মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড় সব জায়গাতেই একটার পর একটা ঘটনা ঘটে চলেছে। কোথাও বাঙালি শ্রমিকদের আটকে রেখে অত্যাচার চালানো হয়েছে। আবার কোথাও বাংলায় কথা বলার জন্য বাংলাদেশি বলে হেনস্তা করা হয়েছে। ছত্তিশগড়ে বেশ কয়েকজন বাঙালি শ্রমিককে আটকে রাখা হয়েছে। মহারাষ্ট্রে বাংলার উত্তর ২৪ পরগনার কয়েকজন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। দিল্লির বসন্তকুঞ্জের ঘটনা তো এখন গোটা ভারতবর্ষ জেনে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের একটি টিম সেখানে লাগাতার পড়ে থেকে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে। যত দিন যাচ্ছে এই পরিস্থিতি আরও বাড়ছে। প্রথমদিন থেকেই এর প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা ও বাঙালির অস্মিতা রক্ষায় এবার তিনি তাঁর দল নিয়ে রাজপথে। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী এই অন্যায়-অত্যাচারের সমাধান চান। নেত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, বাংলায় দেড় কোটি পরিযায়ী শ্রমিক বিভিন্ন রাজ্য থেকে এখানে এসে কাজ করেন। কই তাঁদের সঙ্গে তো এরকম ব্যবহার আমরা কেউ করি না! তবে ভিন রাজ্যে, বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলা শ্রমিকদের সঙ্গে কেন এই ধরনের ব্যবহার হবে! বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি হয়ে যায় নাকি! গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে কোথাও কোনও রাজ্যেই যেন আর এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সেটাই চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটাই চায় বাংলা।