কোবরা নিয়ে শ্রাবণে শোভাযাত্রায় যাওয়ার শখ অধরা, সাপের ছোবলে মৃত্যু ব্যক্তির

মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) গুনা জেলায় একটি বিষাক্ত কোবরা গলায় জড়িয়ে বাইক চালানো সময় এক ব্যক্তির মৃত্যু হল।

Must read

মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) গুনা জেলায় একটি বিষাক্ত কোবরা গলায় জড়িয়ে বাইক চালানো সময় এক ব্যক্তির মৃত্যু হল। অভ্যাস থাকলেও হঠাৎই দীপক মহাভার নামে ওই ব্যক্তি সাপের কামড়ে মারা যান বলেই খবর। গলায় বিষধর কোবরা জড়িয়ে বাইক চালাচ্ছিলেন তিনি। ৩৫ বছরের দীপক মহাবর পেশায় একটি কলেজের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। তবে পেশাদার সাপুড়ে হিসেবেও তিনি কাজ করতেন। দীপক বহুদিন ধরে সাপ ধরতেন এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে সাপ উদ্ধার করেছেন। জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই তিনি একটি কোবরা উদ্ধার করেন এবং সেটিকে একটি কাঁচের পাত্রে রেখে দেন। শ্রাবণ মাসের শোভাযাত্রায় ওই সাপটি প্রদর্শন করবেন বলে তিনি মনস্থির করেন।

আরও পড়ুন-বিধ্বংসী আগুন ইরাকের শপিং মলে, মৃত কমপক্ষে ৫০

ঘটনার দিন অর্থাৎ সোমবার সকালে দীপক কোবরা সাপটিকে গলায় মালার মতো জড়িয়ে বাইক চালিয়ে নিজের দুই ছেলেকে স্কুলে ছাড়তে যান। রাস্তায় তাঁকে দেখে এক পথচারী সেই ভিডিও করেন এবং সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তবে দুর্ঘটনা ঘটে ফেরার পথে। আচমকা সাপটি দীপকের গলায় ছোবল মারে। রাস্তার লোকজন দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। অ্যান্টি ভেনম দেওয়া হলেও দীপককে বাঁচানো যায় নি। দুর্ভাগ্যের বিষয় স্ত্রী আগেই মারা যাওয়ায় এখন দুই ছেলে রৌনক (১২) এবং চিরাগ (১৪) কে কারা দেখাশোনা করবে সেই নিয়ে রীতিমত চিন্তায় আত্মীয়রা।

কিন্তু ঘটনার কথা জানাজানি হতে এই বিষয়ে সচেতন করেছেন পরিবেশবিদরা। তবে আগে থেকেই কেন কোনরকম সঠিক নির্দেশিকা এই নিয়ে জারি করা হয় নি সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। প্রশাসনের তরফেও কেন এই ধরণের পশু বাড়িতে রাখা বা প্রকাশ্যে নিয়ে ঘোরার বিষয়ে কোনরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয় না এই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বেশ কিছু স্থানীয় মানুষ। মধ্যপ্রদেশে সাপের কামড় একটি গুরুতর সমস্যা। বিশেষ করে জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের এই বর্ষাকালে সাপের উৎপাত আরও বাড়ে। বন্যপ্রাণী কর্মকর্তারা এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ধানক্ষেত, খোলা নালা এবং জলাবদ্ধ এলাকা সাপের, বিশেষ করে কোবরা, ক্রেট এবং ভাইপারের প্রজনন ক্ষেত্র হয়ে ওঠার সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়ে। মধ্যপ্রদেশে প্রতি বছর কয়েকশো সাপের কামড়ের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে বেশিরভাগই সঠিক চিকিৎসাব্যবস্থা পৌঁছতে দেরি বা ভুল প্রাথমিক চিকিৎসার কারণে রোগী মারা যায়।

Latest article