প্রতিবেদন : গত কয়েক বছরের মতো এবারও যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড কাপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata banerjee- Durand Cup)। ২৩ জুলাই ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ দিয়ে ১৩৪তম ডুরান্ড কাপের কিক অফ। বল গড়াবে মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়েই। গত ছ’বছরের মতো এবারও রাজ্য সরকার ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে ডুরান্ড কাপের মতো এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন টুর্নামেন্ট আয়োজিত হতে চলেছে। এবার কলকাতা-সহ উত্তর পূর্ব ভারতের পাঁচটি শহরের ছ’টি মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ১৩৪তম ডুরান্ড কাপ (Mamata banerjee- Durand Cup) প্রতিযোগিতা। অংশগ্রহণকারী ২৪টি দলের মধ্যে রয়েছে নেপালের ত্রিভুবন আর্মি ও মালয়েশিয়ার সেনা দল। কলকাতায় যুবভারতী ছাড়াও কিশোরভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হবে ম্যাচ। আয়োজকদের ঘোষণা, এবার টুর্নামেন্টের পুরস্কারমূল্য প্রায় তিনগুণ বাড়ছে। সম্প্রচার সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে বলিউডের মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন ডুরান্ডের সাফল্য কামনা করেছেন।
বৃহস্পতিবার শহরে সেনাবাহিনীর সদর দফতর ফোর্ট উইলিয়ামে হয়ে গেল ট্রফির উন্মোচন। টুর্নামেন্টের ম্যাচ বল প্রকাশিত হল ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হাত দিয়েই। ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ ইস্টার্ন কমান্ড (হেড কোয়ার্টার), ডুরান্ড কাপ আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহিত মালহোত্রা, জিওসি বেঙ্গল সাব এরিয়া তথা আয়োজক কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল রাজেশ অরুণ মোঘে এবং রাজ্য যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দফতরের প্রধান সচিব রাজেশ কুমার সিনহা। বর্তমান সংকটে আইএএসএলের সাতটি দল এবার ডুরান্ডে অংশ না নিলেও টুর্নামেন্টের সাফল্য নিয়ে আশাবাদী আয়োজক কমিটি।
আরও পড়ুন-ডায়মন্ড হারবারের সামনে ইউনাইটেড
সাংবাদিক সম্মেলনে ক্রীড়ামন্ত্রী বললেন, ডুরান্ডে বাংলার ক্লাবগুলো ভাল করবে বলেই মনে করি। মোহনবাগানও গুরুত্ব দিচ্ছে ডুরান্ডকে। এবার ডায়মন্ড হারবারও খেলছে। আশা করি, উপভোগ্য ম্যাচ হবে। সবার জন্য টিকিটের ব্যবস্থা থাকবে এবং স্টেডিয়াম ফুল হাউস থাকবে। টিকিট বণ্টনে বৈষম্যের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী। তিনি বলেন, সবাইকে সমান টিকিট দেওয়া হয়। এবারও সেটা করা হবে। টিকিট বণ্টন নিয়ে খবর বিভ্রান্তিমূলক। আমি প্রতিবার অংশগ্রহণকারী বাংলার ক্লাব, ক্রীড়া দফতর, সেনাকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসি। সেখানে টিকিটের সংখ্যা নিয়ে যা সিদ্ধান্ত হয়, সেটাই লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় ক্লাবগুলিকে এবং সেটাই তারা পায়। এবার যেটা ঠিক হয়েছে, ডার্বি ছাড়া যুবভারতীতে কলকাতার ক্লাবগুলির ম্যাচে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান ও ডায়মন্ড হারবার ৫০০০ সাধারণ টিকিট পাবে। এর বাইরে বক্স এবং প্লাজা-সহ আরও ২০০-র উপর টিকিট পাবে। আইএফএ-ও প্রায় ১৫০০ টিকিট পাবে। ডার্বিতে বেশি টিকিট দেওয়া হবে। কিশোরভারতীতে কোনও ডার্বি হবে না। তাই ওখানে কলকাতার ক্লাবগুলো ২০০০ করে সাধারণ টিকিট পাবে। এছাড়াও বক্স এবং আপার টিয়ারের টিকিট রয়েছে। আইএফএ-ও ৫০০ সাধারণ টিকিটের পাশাপাশি বক্স ও আপার টিয়ারের টিকিট পাবে। এই চুক্তি গতবারেও ছিল। এবারও সেটা থাকছে। সেনাকর্তা তথা আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান মোহিত মালহোত্রা বলেন, এবার পুরস্কারমূল্য ১.২ কোটি থেকে বেড়ে ৩ কোটি হয়েছে। টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলির সরাসরি সম্প্রচার হবে সোনি স্পোর্টসে।