প্রতিবেদন : নিজেদের ভোটবাক্স ভর্তি করতে এবার ভগবানকে পথে নামিয়ে এনেছে বিজেপি! নিজেদের স্ট্র্যাটেজি পূরণে ঠাকুর-দেবতাদের নিয়ে রাজনীতি করছে গেরুয়া শিবির। তাঁদের ধর্ম নিয়ে এই উগ্র মনোভাবকে ভালভাবে নেয়নি বাংলার মানুষ। ফলে ক্রমশ ফিকে হচ্ছে গেরুয়া। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় বলেন, মানুষেই ভগবান বিরাজ করেন। মনুষ্যসেবার মধ্যে দিয়েই ভগবানের সেবা হয়। এদিন সেই একই কথা শোনা গেল রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজার (Shashi Panja) গলায়। বিজেপিকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে ভগবান খুঁজুন। তাঁদের উন্নয়ন করুন। বাঙালি আবেগে সুড়সুড়ি দিতে নয়া রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের আমলে দুর্গা-কালীকে শরণ করছে বিজেপি। দুর্গাপুরের বাসিন্দাদের কাছে বাড়ি বাড়ি মোদির সভার আমন্ত্রণ পত্রে বড় করে লেখা, ‘ভারত মাতার জয়, জয় মা দূর্গা, জয় মা কালী’। এই নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
২০২১-এর বিধানসভা হোক বা ২০২৪-এর লোকসভা— জয় শ্রীরাম বলে ভোট চাইতে গিয়েছে বিজেপি। আর সেই জয়ধ্বনিতে যত না ভক্তি, তার থেকে বেশি ছিল ঔদ্ধত্য। কিন্তু তাদের এই ছল-চাতুরি যে ধোপে টেকেনি তার প্রমাণ মিলেছে ভোটবাক্সে।
বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja) বলেন, ভক্তিতে আন্তরিকতা থাকে। সেটা দেখানোর বিষয় নয়। তারা বাংলায় দুর্গা-কালীর কথা বলে, ভিন রাজ্যে অন্য কথা বলে। এটা বিজেপির সংকীর্ণ রাজনীতি। একই সঙ্গে বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে ভগবান খুঁজুন।
এদিকে নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে একাধিক ভোটারের নাম বাদ দিচ্ছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন মন্ত্রী। শশী পাঁজা বলেন, এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জবাব দিন। বাংলার প্রাপ্য টাকা দেওয়া হচ্ছে না এখনও। চাকরি দেওয়ার প্রসঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী নিশ্চুপ।
আরও পড়ুন-৭ মাস পর বাবলা সরকার খুনে নয়া মোড়! আত্মসমর্পণ বাবলু যাদবের