প্রতিবেদন: আজব ফরমান মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকারের। বিভেদের রাজনীতির ঘৃণ্য প্রতিফলন। হিন্দু, বৌদ্ধ এবং শিখ ধর্মাবলম্বী ছাড়া কাউকেই তফসিলি জাতির শংসাপত্র দেওয়া হবে না। অন্য কেউ ইতিমধ্যেই তফসিলি জাতির শংসাপত্র পেয়ে থাকলে তা বাতিল করে দেওয়া হবে। ধরে নেওয়া হবে, প্রতারণা করে এই সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। ওই সার্টফিকেটের ভিত্তিতে কেউ কোনও সুযোগ-সুবিধা বা সরকারি চাকরি আদায় করে থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন-বালেশ্বরের ছাত্রীকে অগ্নিপরীক্ষার প্ররোচনা দেওয়া হয় অধ্যক্ষের ঘরে
বৃহস্পতিবার স্পষ্টভাষায় একথা জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের গেরুয়া মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি, জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হলেও রেহাই পাবেন না কেউ। যদি প্রমাণিত হয়, নিয়মবহির্ভূতভাবে শংসাপত্র জোগাড় করে কোনও প্রার্থী নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন এবং জয়ী হয়েছেন, তবে তাঁর নির্বাচনও বাতিল করে দেওয়া হবে। বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিতর্কের ঝড় উঠেছে মহারাষ্ট্রজুড়ে। ধিক্কার উঠেছে বিজেপির সংকীর্ণ ধর্মীয় এবং জাতপাতের রাজনীতির বিরুদ্ধে। বিরোধীদের বক্তব্য, এই ফরমান শুধু গণতন্ত্রের অবমাননা নয়, মানবিকতারও অপমান।