চুলের সমস্যা

বর্ষায় কমবেশি চুলের সমস্যায় ভোগেন সবাই। চুলপড়া, খুশকি, চুলে গন্ধ, চুল নিষ্প্রাণ, ছন্নছাড়া— এগুলো খুব সমস্যার এই ঋতুর। কী করবেন, কী করবেন না। বর্ষায় চুলের সমস্যা আর তার প্রতিকার নিয়ে লিখলেন কাকলি পাল বিশ্বাস

Must read

‘বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি, এ কোন অপরূপ সৃষ্টি’— কিন্তু বাস্তবে কি আমরা সবাই বৃষ্টি খুব ভালবাসি? সাহিত্যে বর্ষা বা বৃষ্টি রোম্যান্টিকতার হাত ধরেই এসেছে। কিন্তু বাড়ির বাইরে বেরোতে হলে এই রোম্যান্টিক বৃষ্টিই হয়ে ওঠে প্রচণ্ড বিরক্তিকর। এই যেমন ধরুন না কেন পিউলির কথা। একরাশ মেঘবরণ চুল ওর। আর বর্ষাকাল আসলেই পিউলির মাথায় হাত পড়ে যায়। কারণ বর্ষার জলে ভিজে ওর চুল হয়ে ওঠে রুক্ষ-সূক্ষ্ম। এর সঙ্গে আবার চুল ওঠার সমস্যাও দেখা যায়। পিউলির মতো বর্ষাকালে চুলের সমস্যা অনেকেরই দেখা যায়।
এখন গ্রীষ্মের সেই প্রবল দাবদাহ থেকে সামান্য মুক্তি মিললেও প্যাচপেচে ঘাম আর ভ্যাপসা দমবন্ধকর আবহাওয়া থেকে কিন্তু মুক্তি মেলেনি। বর্ষার বৃষ্টি কবিতা নিয়ে এলেও আরাম নিয়ে আসেনি। আর এই আবহাওয়া পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি যেটা এনেছে তা হল চুলের সমস্যা। এই সময় বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার মাত্রা বেড়ে দ্বিগুণ। ফলে সেই ভিজে-ভাব চুলকেও প্রভাবিত করে। স্নান করলে চট করে চুল শুকতে চায় না, শ্যাম্পু করলেও চুলে আঠালো-ভাব, তেল দিলেই গন্ধ হয়ে যায় এর ফলে চুল নিয়ে এক বিশ্রী অবস্থায় পড়েন মহিলারা। এমতাবস্থায় কী করবেন—

চুল-পড়া
বর্ষাকালে চুল-পড়া এক বড় এবং সাধারণ ঘটনা। হেন কেউ নেই যিনি এই সমস্যায় ভোগেন না। এই সময় চুল পড়ার প্রধান কারণ হচ্ছে এই সময় বাতাস অতিরিক্ত আর্দ্র থাকে আর এই আর্দ্রতা চুলের ফলিকলকে দুর্বল করে চুল পড়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও অনেক সময় বৃষ্টির জন্য মাথার ত্বক বা চুলের গোড়া স্যাঁতসেঁতে ও ভেজাভাব থাকে এর ফলে ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বেড়ে যায়। আর তাই চুল ঝরে যাওয়ার সমস্যা বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন-চিকিৎসা শিক্ষায় হিন্দি চাপানোর অপচেষ্টা, মধ্যপ্রদেশেই মুখ থুবড়ে পড়ল বিজেপি সরকার

চুল-পড়া রোধে
এই সময় যাতে চুল কম পড়ে তার জন্য মাথার ত্বক সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। চুলের ধরন অনুযায়ী সঠিক শ্যাম্পু বেছে নিয়ে মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়াও বৃষ্টির জলে যদি চুল ভিজে যায় তাহলে সেই চুল দ্রুত শুকিয়ে নিতে হবে যাতে মাথার ত্বক ভেজা না থাকে। সপ্তাহে একদিন বা দু’দিন মাথার ত্বকে একটু হালকা গরম তেল মালিশ করে নিন। এতে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং পাশাপাশি চুলের গোড়া মজবুত হবে।
এ ছাড়াও চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য এই সময় প্রোটিন ভিটামিন-সহ অন্যান্য পুষ্টিকর খাদ্য অর্থাৎ মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, বিভিন্ন ধরনের বাদাম খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
ঘরোয়া প্যাক
পরিমাণমতো মেথি সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালবেলার সেই মেথি মিহি করে বেটে নিন। এবার এর সঙ্গে এক বড়চামচ টকদই মিশিয়ে সমস্ত চুলে খুব ভালভাবে মিশ্রণটা লাগিয়ে নিতে হবে। ৪৫ মিনিট পরে ভাল করে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে।

খুশকির সমস্যা
আমাদের মাথার ত্বকে এক ধরনের ছত্রাক থাকে যে ছত্রাকটি আর্দ্র পরিবেশে দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে। আর এর জন্য বর্ষাকালে মাথায় খুশকি বেড়ে যায়। এছাড়াও বৃষ্টির জল অনেক ক্ষেত্রে দূষিত হয়। এই জল মাথার ত্বকে প্রবেশ করলে খুশকির বৃদ্ধি ঘটে। এছাড়াও বর্ষাকালে মাথায় ঘাম বেশি হয়ে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি করে, যেটা খুশকি বেড়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। এছাড়াও বৃষ্টির কারণে মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক বা তৈলাক্ত হয়ে গেলেও খুশকি হতে পারে।
খুশকির সমস্যা দূর করতে
সব সময় মাথার ত্বক শুকনো রাখতে হবে। নিয়মিত চুল উপযুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, না হলে ময়লা এবং মৃত ত্বকের কোষ জমে খুশকির সমস্যা বেড়ে যাবে।

ঘরোয়া প্যাক
দশ-বারোটা নিমপাতা নিয়ে ভাল করে বেটে নিয়ে এর সঙ্গে চার-চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিতে হবে।
এবার মিশ্রণটি ভাল করে মাথায় ত্বক ও চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিতে হবে। একঘণ্টা পরে ভাল করে উপযুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে চুলটা ধুয়ে নিতে হবে।
এ-ছাড়াও খুশকি দূর করতে আগের দিন রাতে মেথি জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন সকালে সেই মেথি ভাল করে বেটে নিয়ে পরিমাণমতো গরম জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এবার ওই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে লাগিয়ে নিতে হবে। ৩০ মিনিট পর ভাল শ্যাম্পু দিয়ে চুলটা ধুয়ে নিতে হবে।

আরও পড়ুন-মহারাষ্ট্রে আজব ফরমান গেরুয়া সরকারের তফসিলি শংসাপত্রে বিভেদের রাজনীতি

চুলের দুর্গন্ধ
বর্ষাকালে চুলে গন্ধ হওয়ার পেছনে দায়ী হচ্ছে বাতাসের অতিরিক্ত আর্দ্রতা। আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ার জন্য চুল সহজে শুকাতে চায় না ফলে
এই সময় চুলের গোড়ায় ঘাম এবং ময়লা জমে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে। এছাড়াও এই সময় চুল যদি ভালভাবে না শুকানো হয় তাহলেও চুলে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও এই সময় বাতাসে ধুলোবালি এবং ময়লা বেশি থাকে যেগুলো চুলের গোড়ায় জমে গিয়ে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে। এছাড়া মাথার ত্বকে যদি ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের সংক্রমণ হয়, তাহলেও চুলে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়।
দুর্গন্ধ দূর করতে
চুলের দুর্গন্ধের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই সময় চুল পরিষ্কার রাখতে হবে। এছাড়াও চুল সবসময় শুকনো রাখতে হবে। যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল শ্যাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারে। পরিমাণমতো তুলসীর পাতা নিয়ে সেটাকে জলে দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। এবার ঠান্ডা হলে সেই জল দিয়ে স্নান করতে হবে। আসলে তুলসীর জল চুলের দুর্গন্ধ দূর করতে অত্যন্ত উপযোগী। তুলসীর জল অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণসম্পন্ন হয়। যেটা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াকে মেরে চুলকে দুর্গন্ধমুক্ত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এক কাপ জলে এক টেবিল-চামচ লেবুর রস ভালভাবে মিশিয়ে নিয়ে সেই মিশ্রণটি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে তিন-চারদিন এটা করলে চুল দুর্গন্ধমুক্ত হবে।
ঘরোয়া প্যাক
হাফকাপ দইয়ের সঙ্গে এক টেবিল-চামচ দারুচিনিগুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর ওই মিশ্রণটি ভাল করে মাথার ত্বকে ও চুলে লাগিয়ে নিতে হবে। ১৫ মিনিট মাথায় রাখার পর উষ্ণ গরমজলে মাথাটা ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে।
বর্ষায় কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট
এই সময় কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট এড়িয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ যেহেতু এই সময় চুলের আর্দ্রতা বেশি থাকে সেই কারণে অতিরিক্ত রাসায়নিক চুলের ক্ষতি করতে পারে।
কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট এই সময় চুলের বহু সমস্যা ডেকে আনতে পারে। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় চুল এমনিই আর্দ্র থাকে। কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতাকে আরও কমিয়ে দেয়। আর এর ফলে চুল রুক্ষসূক্ষ্ম হয়ে যায়। এছাড়াও কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট চুলের প্রোটিনকে দুর্বল করে দেয়, এর ফলে চুল ভঙ্গুর হয়ে যায় এবং চুলের উজ্জ্বলতা কমে যায়। এছাড়াও মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করে দেয় কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট। যার ফলে মাথায় ত্বকে খুশকি-সহ নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও যাদের চুল কালার করা আছে তাদের চুল এমনিতেই সংবেদনশীল হয়ে থাকে। সেই জন্য বর্ষাকালে যাদের চুল রং করা আছে তাদের ক্ষেত্রে কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট আরও ক্ষতিকারক হতে পারে।
তাই কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট নয় ঘরোয়া উপায়ে চুল ভাল রাখতে হবে বর্ষাকালে। চুলের গোড়ায় এবং মাথার ত্বকে তেল লাগান। বর্ষাকালে অনেকে চুলে তেল মাখতে চান না। কিন্তু এই সময় যদি নিয়মিত চুলে তেল লাগানো যায় তাহলে চুল নরম, আর উজ্জ্বল থাকবে। নারকেল তেল, আমন্ড অয়েল, সরষের তেল, অলিভ অয়েল— এই তেলগুলো চুলে লাগালে বর্ষাকালে চুলের বহু সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নারকেল তেল চুলের গোড়া মজবুত করে। যদি নিয়মিত নারকেল তেল মাখা হয় তাহলে চুল নির্জীব হয়ে যাওয়া বা জট পাকানোর মতো সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ করে। সরষে তেলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য। আর তাই এই তেলমাখা খুবই উপকারী। অলিভ অয়েলের মধ্যেও আছে প্রয়োজনীয় ফ্যাট আর ফ্যাটি অ্যাসিড। এই তেল চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। এই তেলগুলো চুলের গোড়ায় নিয়মিত ম্যাসাজ করলে চুল-পড়া কমবে, খুশকি দূর হবে এবং চুল হবে আর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
বর্ষায় চুলের প্যাক
পরিমাণমতো নারকেল তেল গরম করে নিয়ে তার মধ্যে একটি পাকা কলা ভালভাবে মিশিয়ে নিন। এবার ওই মিশ্রণটি ভাল করে চুলে লাগিয়ে নিন। তিরিশ মিনিট পরে প্রথমে জল দিয়ে এবং তারপরে শ্যাম্পু দিয়ে ভাল করে চুলটা
ধুয়ে নিন।
আজকাল সবার বাড়িতেই অ্যালোভেরা গাছ থাকে। টাটকা অ্যালোভেরা জেল বের করে নিতে হবে। এবার সেটা ভাল করে মাথার ত্বকে লাগিয়ে নিতে হবে। ৩০ মিনিট পর ভাল করে জল দিয়ে চুলটা ধুয়ে ফেলতে হবে।
আধকাপ দইয়ের সঙ্গে দু-চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। চুলটা ভিজিয়ে নিয়ে এই প্যাকটি ভাল করে ভেজা চুলে লাগিয়ে নিতে হবে। আধঘণ্টা পরে
হালকা গরম জলে চুলটা ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে।
হেনা চুলের বন্ধু
বর্ষাকালে চুলের সঠিক যত্ন নেওয়ার জন্য হেনা ব্যবহার করা যেতে পারে। হেনা চুলের জন্য খুবই উপকারী। খুশকি দুর করা এবং চুল পড়া কমাতেও হেনার জুড়ি মেলা ভার। হেনা চুলের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও হেনা চুলকে নরম এবং উজ্জ্বল করে।
পরিমাণমতো হেনা পাউডারের সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে নিন। এবার ওই মিশ্রণটি ভাল করে মাথার ত্বকে এবং চুলে লাগিয়ে নিন। ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর ভাল করে চুলটা ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি চুলকে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে।
এছাড়াও টকদইয়ের সঙ্গে হেনা মিশিয়ে মিশ্রণটি চুলে লাগালে চুল নরম ও উজ্জ্বল হয়। আবার মেথি সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে বেটে হেনার সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি চুলে লাগান। এটি চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। পরিমাণমতো আমলা পাউডারের সাথে হেনা মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুলে লাগালে চুল-পড়া কমে এবং চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে। অ্যালোভেরা জেলের সাথে হেনা মিশিয়ে চুলে লাগালে চুল নরম ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়।

আরও পড়ুন-বালেশ্বরের ছাত্রীকে অগ্নিপরীক্ষার প্ররোচনা দেওয়া হয় অধ্যক্ষের ঘরে

বর্ষায় চুল ভাল রাখতে
বর্ষাকালে মাথার ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার রাখা খুব জরুরি। সপ্তাহে ২-৩ দিন হালকা গরম জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিলে মাথার ত্বকে ময়লা, তেল এবং ঘাম জমতে পারবে না, এতে চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।
নিয়মিত তেল ম্যাসাজ করা চুলের জন্য খুব উপকারী। সপ্তাহে অন্তত দু’বার নারকেল তেল, অলিভ অয়েল বা আমন্ড তেল ব্যবহার করে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ম্যাসাজ করুন। এটি চুলের শুষ্কতা দূর করে এবং চুলের ফলিকলকে মজবুত করে।
বর্ষাকালে চুল তার আর্দ্রতা হারায়, তাই এই সময় চুলের উপযুক্ত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে যেটা চুলকে ময়েশ্চারাইজ করবে।
বৃষ্টির জল এড়িয়ে চলতে হবে, যদি চুল বৃষ্টির জলে ভিজে যায়, তবে চুল আলতো করে মুছে নিয়ে প্রাকৃতিকভাবে শুকিয়ে নিতে হবে।
বর্ষাকালে চুলের ডগা ফেটে যেতে পারে, তাই নিয়মিত চুল ছাঁটলে এই সমস্যা এড়ানো যায়।
চুল আঁচড়ানোর জন্য বড় দাঁড়ার চিরুনি ব্যবহার করুন।
পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেলসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে, এগুলো চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।

Latest article