সংবাদদাতা, মহিষাদল : বিজেপির পঞ্চায়েত এলাকায় সমবায় ভোটে প্রার্থীই খুঁজে পেল না তাদের দল। ফলত সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তেঁতুলবেড়্যা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির পরিচালকমণ্ডলীর বোর্ড গঠনের পথে তৃণমূল। এই সমবায়ের মেয়াদ শেষ হয় কয়েক মাস আগে। ভোট ঘোষণা হতেই মাঠে নেমে পড়ে তৃণমূল। আগামী ৯ অগাস্ট ছিল সমবায়ের ভোটের নির্দিষ্ট দিন। ভোট হওয়ার আগেই মনোনয়নপর্বে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে বোর্ড গঠনের পথ প্রশস্ত করেছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। শনিবার জয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানান বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী, ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুদর্শন মাইতি-সহ অন্যরা। জানা গিয়েছে, এই সমবায়ের মোট আসন ৫২টির মধ্যে মনোনয়ন পর্বে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে ৪২ আসনে। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই এই সমবায়ে বোর্ড গড়তে চলেছে তৃণমূল। বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে দেখা যায় বিজেপি কেবলমাত্র দশটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। শনিবার তালিকা প্রকাশ হতেই দেখা যায় ৫২টি আসনের মধ্যে ৪২টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। বাকি দশটি আসন গেছে বিজেপির ঝুলিতে। সমবায়ের বিদায়ী বোর্ডের প্যানেল চেয়ারম্যান সুদীপ্ত আগুয়ান জানান, গত পাঁচ বছরে এলাকার সমবায়ী মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভাল কাজ করা হয়েছে। তাতে মানুষ একপ্রকার সন্তুষ্ট প্রমাণিত হল।
এই সমবায় আগেও তৃণমূলের হাতেই ছিল। এটি যে গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সেই বেতকুণ্ডু গ্রাম পঞ্চায়েত বর্তমানে বিজেপির দখলে। তবে ওই পঞ্চায়েত প্রধান প্রায় এক বছর আগে তৃণমূলে যোগ দেন। এরই মাঝে সমবায়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের জয়ে বাড়তি অক্সিজেন পাচ্ছে শাসক শিবির। স্থানীয় বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, মোদি-শাহরা যতই এ রাজ্যে এসে হাওয়া তোলার চেষ্টা করুক, ২৬-এর নির্বাচনের লক্ষণ আমরা আগে থেকেই দেখতে পাচ্ছি। যত সমবায় নির্বাচন হচ্ছে সবেতেই বিজেপি ধরাশায়ী হচ্ছে। বেতকুণ্ডু গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপির মনোনয়ন করার মতোই শক্তি নেই। আমি ওই এলাকার সমবায়ের সঙ্গে যুক্ত সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আরও পড়ুন- মোদির সভার জেরে লন্ডভন্ড দুর্গাপুর স্টেডিয়াম, প্রতিবাদে ধানচাষ করলেন বিধায়ক নরেন