প্রতিবেদন : বিহারের পর এবার বাংলায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা বা এসআইআর করতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই লক্ষ্যে শনিবার বিএলওদের নিয়ে শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানেও এসআইআরের প্রস্তুতি নিয়ে কর্মীদের নানা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরই এসআইআর নিয়ে কমিশনকে হুঁশিয়ারি দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-পটনায় চলন্ত অ্যাম্বুল্যান্সে যুবতীকে গণধর্ষণ
দলের মুখপাত্র তথা রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, নির্বাচন কমিশন এই নিয়ে যা যা করছে, দল এবং আমাদের সরকার এর ওপর নজর রাখছে। এই নিয়ে যা বলার, যা করার আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব সঠিক সময়ে তা করবেন। আমরা এখন শুধু এটুকু বলতে চাই, নির্বাচন কমিশন যেন মনে রাখে, একজন বৈধ ভোটার, একজন বৈধ নাগরিকের গায়ে যেন হাত না পড়ে। যদি বিজেপির হাতে তামাক খেতে হয়, আর সেই তামাক খেয়ে যদি আপনারা একজনও বৈধ ভোটার, যাঁর আধার আছে, প্যান আছে, রেশন কার্ড আছে, নাগরিকত্বের মৌলিক প্রমাণগুলি আছে, তাঁদের যদি হেনস্থা করতে নামেন তাহলে আন্দোলন কাকে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস কিন্তু গোটা দেশকে দেখিয়ে দেবে। কুণাল আরও বলেন, এর মধ্যে যে প্রশাসনিক বিয়য় রয়েছে তা নিয়ে রাজ্য সরকার যা করার করবে। কিন্তু এর পিছনে যে রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে নির্বাচন কমিশনের, তা নিয়ে আমরা স্পষ্ট বলছি, একসময় বিজেপি বলেছিল, জাতীয় নির্বাচন কমিশন দিয়ে ভোট করাব। করিয়েছে এবং হেরেছে। একসময় বলেছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাব৷ করিয়েছে এবং হেরেছে। এখন তাই এরা ভোটার লিস্টে কারচুপি করে জিততে চাইছে। পিছনের দরজা দিয়ে ভোটে জেতার চেষ্টা করছে। মহারাষ্ট্র, দিল্লিতে করেছে। কিন্তু ওখানে পার পেয়ে গেলেও এখানে হবে না। বিহারে প্রতিবাদ হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস পরিষ্কার বলছে, আমরা অনুপ্রবেশ সমর্থন করি না। যদি একজন অনুপ্রবেশকারীও এ রাজ্যে ঢুকে থাকে তাহলে তার দায় কেন্দ্রীয় সরকার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং তাদের অধীন বিএসএফের, রাজ্য পুলিশের নয়। বাংলায় যদি ২ জন অনুপ্রবেশকারী ঢুকে থাকেন, তাহলে ত্রিপুরায় ২০০ জন ঢুকেছে। ওটা তো ডবল ইঞ্জিন সরকার, ওখানে তারা কী করছিল?