ভিডিওর মাধ্যমে এআই ভয়েস ক্লোনিং নিয়ে সাবধানতা কলকাতা পুলিশের, দেওয়া হল হেল্পলাইন নম্বর

এআই (AI) ভয়েস ক্লোনিং এমন একটি প্রযুক্তি যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির কণ্ঠস্বর হুবহু নকল খুব সহজেই করতে পারে।

Must read

এআই (AI) ভয়েস ক্লোনিং এমন একটি প্রযুক্তি যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) মাধ্যমে কোনো ব্যক্তির কণ্ঠস্বর হুবহু নকল খুব সহজেই করতে পারে। এই প্রযুক্তির সাহায্যে একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির ভয়েস ডেটা ব্যবহার করে, একটি AI মডেলকে কণ্ঠস্বর নকল করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই নকল ভয়েসটি টেক্সট-টু-স্পিচ বা অন্যান্য অডিও অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে ব্যবহার করা যায়। এই সুযোগ ব্যবহার করেই প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে সাইবার প্রতারকরেরা। তাই এবার মাঠে নামল কলকাতা পুলিশ। এদিন নিজেদের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে একটা ভিডিও পোস্ট করেছে কলকাতা পুলিশ। অমিতাভ বচ্চন ও মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের কালজয়ী একটি ভিডিওতে আসল গানের বদলে দেওয়া হয়েছে অন্য একটি গান যেটা কোনভাবেই কিশোরে কুমারের গাওয়া নয়। এরপরেই বার্তা দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে সাধারণ মানুষকে যাতে তাঁরা কোনমতেই হ্যাকারদের ফাঁদে পা না দেন। সেই বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে হেল্পলাইন নম্বরও।

আরও পড়ুন-প্রমাণের অভাব! মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় সাধ্বী-সহ ৭ অভিযুক্ত বেকসুর খালাস

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগে এই ‘এআই ভয়েস ক্লোনিং’ প্রযুক্তি কোনও ব্যক্তির কণ্ঠস্বর এততাই নিখুঁত ভাবে নকল করে যে বোঝার উপায় থাকে না কোনটা আসল কোনটা নকল। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ির মহিলারা বা প্রবীণ সদস্যেরাই বেশি ঠকছেন এর ফলে। দেখা যাচ্ছে ফোনের স্ক্রিনে ভেসে উঠছে পরিচিত ব্যক্তির নম্বর। ফোন তুললে সেই পরিচিত ব্যক্তির গলার স্বর। না বুঝে উত্তর দিয়ে ফেঁসে যাচ্ছেন সকলে। ভুল যখন ভাঙবে, দেখা যাবে ফোনের সব তথ্যই ফাঁস হয়ে গিয়েছে বা আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা। এতদিন ব্যাঙ্কের আধিকারিক বা সরকারি দফতরের উচ্চপদস্থ কর্তার পরিচয় দিয়ে প্রতারণা চলছিল কিন্তু এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সুযোগ নিয়ে সাজানো হয়েছে নতুন পদ্ধতি। তাই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে কলকাতা পুলিশ সহ জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা বিভাগ।

আরও পড়ুন-ক্যালিফোর্নিয়ায় ভেঙে পড়ল মার্কিন যুদ্ধবিমান!

কলকাতা পুলিশের এই পোস্টে বলা হয়েছে যদি আত্মীয় বা বন্ধুদের নাম করে কোনও ফোন আসে এবং অন্য ধরণের কথা বলে, তা হলে সতর্ক হতে হবে। ফোন যদি বারবার আসে এবং টাকা পাঠানোর কথা বলে, তা হলে আগে যাচাই করে নিতে হবে। সরাসরি টাকা পাঠানোর আগে একবার ভিডিয়ো কল করে যাচাই করে নিতে হবে তিনিই ফোনটি করেছিলেন কি না। এআই ক্লোন করা কণ্ঠস্বর কিছুটা যান্ত্রিক শোনাতে পারে। প্রতারকরা সংক্ষিপ্ত ভয়েস ক্লিপ ব্যবহার করে বলে খুব অল্প সময়ের জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তির কণ্ঠস্বর শোনা যায়। তাই বার বার প্রশ্ন করতে থাকতে হবে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, এটিএম কার্ড নম্বর, ইউপিআই পিন, ওটিপি এবং পাসওয়ার্ড, এই ধরনের কোনও তথ্য শেয়ার করা যাবে না। নিজের গলার আওয়াজ বা কোন রকম ভয়েস রেকর্ড সমাজমাধ্যমে আপলোড করা বন্ধ করে শ্রেয়। কেউ এআই ভয়েস ক্লোনিং প্রতারণার শিকার হলে বা সন্দেহজনক ফোন পেলে অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে, যেমন সাইবার ক্রাইম পুলিশে রিপোর্ট করুন ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন। ডায়াল করতে পারেন ১৯৩০ নম্বরে। এছাড়া দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের সাইবার হেল্পলাইন নম্বর ও প্রণাম হেল্পলাইন।

Latest article