এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে ত্রিপুরা যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই ঝটিকা সফরকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন ধরেই তৃণমূল কর্মী সমর্থক ও স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আগরতলার-সহ ত্রিপুরার ৮ জেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের ফ্লেক্স, ফেস্টুনে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছাত্র-যুব থেকে শুরু করে সমস্ত স্তরের তৃণমূল কর্মীরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা জানাতে প্রহর গুনছে। সোমবার অভিষেক ত্রিপুরায় পৌঁছনোর আগেই রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের ফেস্টুন পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন-বাবুলকাণ্ডে বিজেপিতে বিশৃঙ্খলার ছবি বেআব্রু, প্রাক্তন মন্ত্রীর উপর চরম ক্ষুব্ধ শীর্ষ নেতৃত্ব
এই ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। ফেস্টুন ছেঁড়ার ঘটনাকে তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি এই ঘটনাকে ধিক্কার জানিয়েছেন। কুণালের কথায়, “বিজেপি ভয় পেয়েছে তৃণমূলের উত্থানকে। বিজেপি ভয় পেয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাই অভিষেক ত্রিপুরা যাওয়ার আগের রাতেই তৃণমূলের ব্যানার-ফেস্টুন ছেঁড়া হয়েছে। কিন্তু এতে লাভ হবে না। ত্রিপুরার মানুষ রাজ্যে বিকল্প হিসাবে তৃণমূলকে ভাবতে শুরু করেছে। তাই কখনও পুলিশ দিয়ে আইপ্যাকের সমীক্ষকদের আটকে রাখা হচ্ছে। কখনও পার্টি অফিস ভাঙা হচ্ছে। আবার কখনও পোস্টার-ফেস্টুন ছেঁড়া হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ত্রিপুরায় নতুন উদ্যমে সেজে উঠেছে তৃণমূল। রাষ্ট্রশক্তি দিয়ে তাকে আটকানো যাবে না। গোটা দেশের মতোই বামেরা ত্রিপুরাতেও অপ্রাসঙ্গিক। তাই বিজেপিকে ত্রিপুরা থেকে রাজনৈতিক ভাবে উৎখাত করতে মানুষের ভরসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেস।”