শনি থেকেই রাজ্যে ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’, বুথভিত্তিক সমস্যা সমাধানে বরাদ্দ ৮ হাজার কোটি টাকা

Must read

জেলাস্তরে সাধারণ মানুষের ন্যূনতম সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধানেই রাজ্য সরকার চালু করতে চলেছে নতুন কর্মসূচি— ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ (Amader Para Amader Samadhan)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর শনিবার ২ অগাস্ট থেকে রাজ্যজুড়ে এই প্রকল্প চালু হচ্ছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে বুধবার নবান্নে সমস্ত জেলাশাসকদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেখানেই জেলাশাসকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকা।

এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য, রাজ্যের ৮০ হাজার বুথে সাধারণ মানুষের ছোটখাটো সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান (Amader Para Amader Samadhan)। সেইমতো বুথপিছু ১০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, কোন কাজের জন্য কীভাবে টাকা খরচ হবে, তা ঠিক করবেন সংশ্লিষ্ট বুথের বাসিন্দারাই। স্থানীয় মানুষদের মতামতের ভিত্তিতেই হবে প্রকল্প নির্বাচন।

ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ঠিক কোন কোন বিষয়ে এই প্রকল্পের আওতায় কাজ হবে। প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, প্রতিটি বুথে স্থানীয় মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী নিম্নলিখিত খাতে কাজ করা যাবে—
এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা, ড্রেন, কালভার্ট নির্মাণ বা মেরামতি
জলের সংযো, নলকূপ, পাইপলাইন বসানো বা মেরামতি
রাস্তার আল— এলইডি লাইট, সোলার লাইট বা হাইমাস্ট ল্যাম্প স্থাপন ও মেরামতি
সার্বজনীন শৌচাগার নির্মান, বিশেষ করে বাজার এলাকায়
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ছাদ মেরামতি, পানীয় জলের ব্যবস্থা, পাঁচিল নির্মাণ
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রং, বেঞ্চের ব্যবস্থা, শৌচাগার সংস্কার
পুকুর সংস্কার ও ঘাট বাঁধানো
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন
বাজার এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা, দোকানের মেরামতি
কমিউনিটি সেন্টার বা ছাউনি নির্মাণ যেখানে নিয়মিত অনুষ্ঠান হয়
বাস স্টপেজ, অটো-রিকশা স্ট্যান্ড, ফুটপাত, অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা
পার্কে বেঞ্চ বসানো ও বৃক্ষরোপণ
বিদ্যুৎ সংযোগ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান
রাস্তা নির্মাণ ও মেরামতি

আরও পড়ুন-মঙ্গলে আরামবাগে মুখ্যমন্ত্রী, সেচ দফতরের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ডিভিসির জলছাড়ায় বাড়ছে প্লাবনের আশঙ্কা

নবান্নের এক কর্তা জানাচ্ছেন, “এতদিন পর্যন্ত একাধিক প্রকল্প চালু থাকলেও সেগুলি কেন্দ্রীভূত বা বড় পরিসরে হত। এবার প্রথমবার রাজ্যের প্রতিটি বুথ স্তরে স্থানীয় সমস্যার জায়গা থেকে সমাধানের পথে নামছে প্রশাসন।” রাজ্য প্রশাসনের দাবি, এর মাধ্যমে মানুষের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ যেমন নিশ্চিত হবে, তেমনই নির্বাচনী বছরকে মাথায় রেখেও গ্রামীণ উন্নয়নের একটি দৃশ্যমান ও বাস্তবধর্মী কাঠামো তৈরি হবে।

Latest article