প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় সরকার নকল ওষুধের সংখ্যা সংক্রান্ত কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্যই রাখে না। প্রমাণিত হল লোকসভাতেই। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ রাষ্ট্রমন্ত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল, লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দীপক অধিকারীর এক প্রশ্নের উত্তরে জানান যে, ১৯৪০ সালের ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স অ্যাক্ট-এ ‘কাউন্টারফেইট মেডিসিন’ বা ‘নকল ওষুধ’ শব্দটির কোনও সংজ্ঞা নেই। তবে, আইনটিতে ‘স্পিউরিয়াস’, ‘অ্যাডাল্টারেটেড’ এবং ‘মিসব্র্যান্ডেড’ ওষুধের সংজ্ঞা দেওয়া আছে, যার মধ্যে নকল ওষুধও অন্তর্ভুক্ত।
আরও পড়ুন-ফেডারেশন-পরিচালকদের দ্বন্দ্ব মেটাতে যৌথ কমিটির প্রস্তাব
গত পাঁচ বছরে (২০২০-২১ থেকে ২০২৪-২৫) দেশজুড়ে ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের (সিডিএসসিও) তথ্যে দেখা যায়, পরীক্ষার জন্য নেওয়া ওষুধের নমুনার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২০-২১ সালে যেখানে ৮৪,৮৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, সেখানে ২০২৪-২৫ সালে এই সংখ্যা বেড়ে ১,১৬,৩২৩ হয়েছে। ‘নট অফ স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি’ (এনএসকিউ) বা নিম্নমানের ওষুধ পাওয়া গিয়েছিল ২০২০-২১ সালে ২,৬৫২টি নমুনায়, যা ২০২৪-২৫ সালে বেড়ে ৩,১০৪টি হয়েছে। একইভাবে, স্পিউরিয়াস/ অ্যাডাল্টারেটেড ওষুধ ধরা পড়েছে ২০২০-২১ সালে ২৬৩টি, এবং ২০২৪-২৫ সালে ২৪৫টি। এই সময়ের মধ্যে নকল বা ভেজাল ওষুধ উৎপাদন, বিক্রি ও বিতরণের জন্য দায়ের করা মামলার সংখ্যাও বেড়েছে; ২০২০-২১ সালে ২৩৬টি মামলা থেকে ২০২৪-২৫ সালে এই সংখ্যা ৯৬১-এ পৌঁছেছে। মান নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে, সিডিএসসিও প্রতি মাসে তাদের ওয়েবসাইটে এই নিম্নমানের ওষুধের তালিকা প্রকাশ করে। যখন কোনও নমুনা এনএসকিউ হিসেবে চিহ্নিত হয়, তখন সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারী সংস্থাকে অবিলম্বে সেই ওষুধ বাজার থেকে তুলে নিতে এবং নতুন করে সরবরাহ বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।