দফায় দফায় মুলতুবি, তৃণমূলের স্লোগানে গলা মেলাল বিরোধীরা

গলা মেলালেন বিরোধী শিবিরের সাংসদরাও। উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের দুই কক্ষ। দুপুর দুটো পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করেছেন স্পিকার।

Must read

প্রতিবেদন : এসআইআর ইস্যুতে শুক্রবারও তৃণমূল-সহ বিরোধীদের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠল সংসদ। এদিন বিহারের সংশোধিত ভোটার তালিকার খসড়া সব রাজনৈতিক দলের হাতে তুলে দেয় নির্বাচন কমিশন। এর পরেই বিরোধীদের এসআইআর প্রত্যাহারের দাবিতে সংসদের উভয় কক্ষই উত্তাল হয়ে ওঠে। বিরোধীদের বিক্ষোভ এবং মুহুর্মুহ স্লোগানে থমকে দাঁড়ায় সভার কাজ। এদিন তৃণমুল কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা এসআইআর ইস্যুতে একজোট হয়ে আলোচনার দাবি জানায় সংসদের দুই কক্ষে। কিন্তু অন্যদিনের মতো সরকার বিরোধীদের দাবি না মানায় ভেস্তে যায় সংসদের দুই কক্ষ লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন।
এদিন লোকসভা তৃণমূল কংগ্রেসের উপদলনেত্রী কাকলি ঘোষদস্তিদার ও মহুয়া মৈত্র সার ইস্যুতে জরুরি ভিত্তিতে আলোচনার দাবি জানিয়ে নোটিশ দেন। অন্যদিকে রাজ্যসভাতে তৃণমূল কংগ্রেসের ২১ জন সাংসদ সার দাবিতে আলোচনা চেয়ে নোটিশ দেন। ওয়েলে নেমে দুই হাউসে তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বাকি বিরোধীরা সার প্রত্যাহারের দাবিতে স্লোগান দিয়ে তীব্রভাবে সোচ্চার হয়। সরকার বিরোধীদের দাবি না মানায় দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন, সাগরিকা ঘোষরা এসআইআর পে হল্লা বোল স্লোগান দেন। গলা মেলালেন বিরোধী শিবিরের সাংসদরাও। উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের দুই কক্ষ। দুপুর দুটো পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করেছেন স্পিকার।

আরও পড়ুন-আবাস যোজনা, অভিষেকের প্রশ্নে সংসদে নাজেহাল কেন্দ্র

এসআইআর ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোটের সদস্য দলগুলি মোদি সরকারকে ঘরে-বাইরে চাপে ফেলতে এককাট্টা৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশিত পথে ৮ অগাস্ট দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস-সহ গোটা ইন্ডিয়া জোট৷ ইতিমধ্যেই দিল্লিতে শুরু হয়ে গিয়েছে এর প্রস্তুতি৷ নির্বাচন কমিশন ঘেরাও-এর আগে ৭ অগাস্ট দিল্লিতে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, আরজেডি, সপা, আরজেডি, শিবসেনা (উদ্ধব), এনসিপি (শরদ), ডিএমকে-সহ ইন্ডিয়া জোটের দলগুলির সংসদীয় নেতৃত্ব এক নৈশভোজে মিলিত হবে৷ এই নৈশভোজ বৈঠকেই এসআইআর ইস্যুতে বিরোধীদের আন্দোলনকে জোরদার করতে বড় কর্মসূচি প্রণয়ন করা হতে পারে৷ বিজেপি ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনের নামে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার যে চক্রান্ত করছে, বাংলা ও অন্যান্য রাজ্যে তা প্রতিরোধের কৌশল নিয়ে এই বৈঠকেই সবিস্তারে আলোচনা হতে পারে৷ সংসদের বাদল অধিবেশন শেষ হবে ২১ অগাস্ট৷ তার পরে এসআইআর নিয়ে গোটা দেশে কীভাবে সরকার বিরোধী আন্দোলন করা যায়, তার রূপরেখা তৈরি হতে পারে এই বৈঠকেই৷ বিরোধীদের অভিযোগ, বিহারে ৬৫ লক্ষের বেশি ভোটারকে বাদ দেওয়া হয়েছে৷ এর পরে বাংলার বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি মরিয়া হয়ে সেখানেও প্রকৃত ভোটারদের বাদ দিতে চাইবে৷ সেক্ষেত্রে রাজ্যওয়াড়ি আন্দোলন কর্মসূচি কী হতে পারে তা স্থির করা হতে পারে ৭ অগাস্টের নৈশভোজ বৈঠকেই।

Latest article