প্রতিবেদন: বেলেঘাটার অভিজিৎ সরকার খুনের মামলায় সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলে ছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সঠিক ভাবে তদন্ত করছে না কেন্দ্রীয় এজেন্সি, এমন মন্তব্য করে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এই মামলায় ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকায় প্রশ্ন উঠল হাইকোর্টে। এবার তদন্তের সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলে পরেশ পাল ও রত্না সরকারের তরফে সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, সিবিআইয়ের চার্জশিট ফাইল করতে চার বছর লেগে গেল?
আরও পড়ুন-এনজেপি স্টেশনে যাত্রীদুর্ভোগ চরমে, হুঁশ নেই রেলকর্তাদের
সিবিআই বলে যা ইচ্ছে করা যায় না। সিবিআই রামকৃষ্ণ মিশন বা কালীঘাট মন্দির নয়। সিবিআই স্পেশাল নাকি? মৃতের ভাইয়ের জবানবন্দি দেখুন। তাঁর সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে আদালত জানিয়েছে, তিন রকম ভার্সান রয়েছে। একুশ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় অভিজিতের। ২ জুলাই নিম্ন আদালতে মামলায় দ্বিতীয় অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। সেখানেই অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল, কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (বস্তি) স্বপন সমাদ্দার এবং ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পাপিয়া ঘোষের নাম। মামলায় আগাম জামিনের আবেদন করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পরেশ। এদিন সেই মামলাতেই সিবিআই নাম দেওয়ার উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারেনি বলে দাবি করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি।