দেবর্ষি মজুমদার, শান্তিনিকেতন : ১৯৪৩-এ দুর্ভিক্ষ এবং ৪৭-এ সাম্প্রদায়িক হানাহানির আশঙ্কায় বন্ধ রাখা হয়েছিল ঐতিহ্যের পৌষমেলা। গত দু’বছরে করোনার কারণে মেলা বন্ধ ছিল। এবারে করাই যেত। কিন্তু উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর খামখেয়ালিপনায় হল না। হাজার হাজার মানুষের রুজি-রোজগার, সাধারণ মানুষের যোগদান, সর্বোপরি ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখেই প্রশাসনের সাহায্যে বিকল্প পৌষ উৎসব হচ্ছে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ, ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে। ডাকবাংলো মাঠে। এসবের মাঝেও সৌজন্যের নজির রাখছেন উদ্যোক্তারা। যাঁর অপদার্থতায় পৌষমেলা হচ্ছে না, সেই উপাচার্যকে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানাতে যাবেন বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ তথা মেলার মূল আয়োজকের দুই প্রতিনিধি মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমিনুল হোদা, মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ। মনীষা বলেন, এটা আমাদের দিক থেকে সৌজন্য প্রদর্শন।
আরও পড়ুন : কলকাতা পুরসভায় থাকবেন না বিরোধী দলনেতা
আমিনুল জানান, নিমন্ত্রণপত্র ছাপানো হয়ে গিয়েছে।
‘মোরে ডাকি লয়ে যাও মুক্ত দ্বারে’ বৈতালিক সংগীত এবং উপাসনার মধ্যে দিয়ে ৬ পৌষ বুধবার রাত ন’টায় বৈতালিকের মধ্য দিয়ে কবির আশ্রমে শুরু হবে পৌষ উৎসব। ৭ পৌষ ভোর পাঁচটা তিরিশে ফের বৈতালিক, সকাল ছ’টায় শান্তিনিকেতন গৃহে সানাই, সকাল সাড়ে সাতটায় ছাতিমতলায় উপাসনা, সন্ধে ছ’টায় উদয়ন বাড়িতে আলোকসজ্জা। পরদিন সকাল সাড়ে আটটায় আম্রকুঞ্জে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উৎসব, নিদর্শনপত্র প্রদান হবে। ৯ পৌষ আম্রকুঞ্জে পরলোকগত আশ্রমবন্ধুদের স্মৃতিবাসর এবং ওই দিন বিকেল সাড়ে পাঁচটায় উপাসনাগৃহে খ্রিস্টোৎসব পালিত হবে। মেলা ছাড়াই শুরু হবে ১২৭তম পৌষ উৎসব। উৎসব হবে বলে স্থানীয় ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের মধ্যে খুশির হাওয়া।