প্রতিবেদন : কলকাতার ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষজন এবার সিটবেল্ট বেঁধে তৈরি হতে পারেন। নতুন কাউন্সিলর তাঁদের খেলামুখী করে তুলবেন! এই ব্যাপারে বিশ্বরূপ দে-র বক্তব্য খুব পরিষ্কার। বললেন, ‘‘আমার ওয়ার্ডে কোনও মাঠ নেই। তাই মাঠমুখী করে তোলার কথা বলতে পারছি না। কিন্তু সবাইকে খেলামুখী করে তুলবই। এটা আমার চ্যালেঞ্জ।”
জগমোহন ডালমিয়ার ডান হাত বলে একদা পরিচিত বিশ্বরূপ একাধারে সিএবির কোষাধ্যক্ষ ও সচিবের দায়িত্ব সামলেছেন। বার তিনেক ভারতীয় ক্রিকেট দলের ম্যানেজার হিসাবে বিদেশ সফরে গিয়েছেন। ছিলেন আইএফএ-র কমিটি মেম্বারও। এতেই শেষ নয়, তিনি যুক্ত রাজ্যের দাবা ও জিমন্যাসটিক্সের সঙ্গেও। ফলে ছোট লাল বাড়িতে জনপ্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচিত হয়ে আসার পরও তিনি অক্লেশে বলে দিতে পারছেন, ‘‘মানুষ আমাকে চেনে খেলার মাঠের লোক বলে। মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসার পর তাদের পরিষেবা দিতে আমি যেমন অঙ্গীকারবদ্ধ, তেমনই সবার জীবনে খেলাধুলার নির্মল আনন্দ ছড়িয়ে দিতেও আমি বদ্ধপরিকর।”
আরও পড়ুন : জয়ী তৃণমূলের সব তারকাই
কলকাতা পুর নির্বাচনে ৬৭৫০ ভোটে জিতে আসা বিশ্বরূপ তাই বলে দিচ্ছেন, তাঁর ওয়ার্ডের সবাইকে তিনি ইন্ডোর গেমসের দিকে নিয়ে আসবেন। অঞ্চলে গড়ে তুলবেন টেবল টেনিস ও দাবা সেন্টার। স্থানীয় মেয়েদের জন্য করবেন জুডো ও ক্যারাটে শিবির। আর সবাইকে স্বাস্থ্য সচেতন করে তুলতে অবশ্যই করতে চান আধুনিক সুবিধাযুক্ত মাল্টিজিম। বিশ্বরূপের কথায়, ‘‘দেখুন, অনেক কিছু করার আছে। খেয়াল রাখব প্রতিভা যেন হারিয়ে না যায়। সিএবি প্রশাসনে দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করেছি। বোর্ডের নানা কমিটিতেও ছিলাম অনেকদিন। যদি কলকাতা পুরসভায় খেলাধুলার বিষয়ে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারি, তাহলে ভাল লাগবে। আর সিএবির-ও যদি আমাকে দরকার পড়ে, অবশ্যই পাশে থাকব।” লকডাউনে মানুষের পাশে ছিলেন। সারা বছরই তিনি মানুষের পাশে থাকেন। খেলা হবে দিবসে তিরিশটি সংগঠনকে ক্যারম বোর্ড দিয়েছেলেন বিশ্বরূপ। জনপ্রতিনিধি হিসাবে আরও বৃহত্তর আঙিনায় এসে পড়লেন এবার। বিশ্বরূপ তাই বললেন, ‘‘দল আমাকে কাজের সুযোগ দিয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ। এখন শুধু কাজ করে যেতে চাই।”