মোদিরাজ্যে বাংলার শ্রমিকদের থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার, বিদ্বেষের আগুনই গ্রাস করবে বিজেপিকে

বিজেপি ভেবেছেটা কী? গোটা দেশে এমনই এমন এক বিদ্বেষপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করেছে যে, বাংলার বাইরে বাঙালি হওয়াটাই অপরাধ!

Must read

প্রতিবেদন : বিজেপি ভেবেছেটা কী? গোটা দেশে এমনই এমন এক বিদ্বেষপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করেছে যে, বাংলার বাইরে বাঙালি হওয়াটাই অপরাধ! একের পর এক বিজেপি-রাজ্যে বাঙালি হেনস্থা হয়েই চলেছে। এবার মোদিরাজ্যে কাজে গিয়ে চরম হেনস্থার মুখে পড়লেন বাংলার ১২ জন পরিযায়ী শ্রমিক। এই ঘটনায় বিজেপিকে নিশানা করে তৃণমূল ক্ষোভ উগরে দিল বিজেপির বিরুদ্ধে। এক্স হ্যান্ডেলে কড়া নিন্দা জানিয়ে তৃণমূল দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, যে জাতিবিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িকতার আগুন তারা জ্বালিয়েছে, শেষমেশ সেটাই গ্রাস করবে বিজেপিকে।

আরও পড়ুন-মঙ্গলবার ডিএ মামলার শুনানি

পিংলার বাঙালি শ্রমিকদের উপর গুজরাত পুলিশের অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল জানিয়েছে, অত্যন্ত মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক ঘটনা। সাধারণ পোশাকে থাকা পুলিশ ভাড়া বাড়িতে জোর করে ঢুকে চুল ও কলার ধরে টেনে গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যায় বাংলার শ্রমিকদের। থানার ভিতরে তাঁদের ওপর নির্মমভাবে অত্যাচার চলে। লাঠি দিয়ে মারধর, বুট দিয়ে লাথি, থাপ্পড় মারা হয়। পুলিশ জোর করে তাঁদের কাছে স্বীকারোক্তি চাইছিল যে, তাঁরা ‘বৈধ অনুপ্রবেশকারী’। শ্রমিকেরা বারবার পুলিশকে অনুরোধ করেছেন, তাঁদের ফোন ও পরিচয়পত্র আনতে দেওয়া হোক। কিন্তু পুলিশ কিছু শুনতেই চায়নি। গুজরাতে জীবিকার সন্ধানে গিয়ে যে এভাবে নির্মম পুলিশি নির্যাতনের শিকার হতে হবে ভাবেননি পিংলা ও সবংয়ের ১২ জন পরিযায়ী শ্রমিক। গত ২৬ জুলাই গভীর রাতে কোনও নোটিশ ছাড়াই তাঁদের অস্থায়ী ঠিকানায় হানা দিয়ে নারকীয় অত্যাচার চালায় পুলিশ। শেষ পর্যন্ত একজন পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে গোটা ঘটনা জানান। তারপর রাজ্যের তরফে গুজরাত পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে শ্রমিকদের মুক্তি নিশ্চিত করা হয়। বুদ্ধদেব বারিক, সন্দীপ মাঝি, গণেশ মাঝিরা বলেন, আমাদের তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে বলছে আমরা বাংলাদেশি। অথচ আমরা মেদিনীপুরেরই মানুষ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার জানান, পরিযায়ী শ্রমিকদের আটক করার খবর পেয়ে পরিচয়পত্র পাঠানোর পর তাঁদের ছেড়ে দেয় গুজরাত পুলিশ। জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি জানিয়েছেন, তাঁদের কর্মশ্রী প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করে স্থানীয় পর্যায়ে কাজের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

Latest article