প্রতিবেদন : ২০২৬ সালের পরেই ডিভিসির জল আটকাব। মঙ্গলবার ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করে সাফজানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি, এবার অ্যাকশন নেব। ২০২৬ সালের পরই কীভাবে ডিভিসির জল আটকানো যায়, তার প্ল্যান করব। এজন্য আমাদের কয়েকটা ড্যাম তৈরি করতে হবে। এদিন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়েও কেন্দ্রকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata banerjee)।
আরও পড়ুন- সত্যপাল মালিকের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী-অভিষেকের
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান কেন্দ্রের প্রজেক্ট। কিন্তু কেন্দ্র তা করেনি। রাজ্য এককভাবে উদ্যোগী হয়েছে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রূপায়ণে। তিনি বলেন, আমরা দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দে মাস্টার প্ল্যান হাতে নিয়েছি। এই বছরের বাজেটেই ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তাঁর কথায়, এবার অনেক বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। একদিকে ডিভিসি, অন্যদিকে মাইথন, পাঞ্চেত— এবার ১১ গুণ বেশি জল ছেড়েছে। ফলে প্লাবিত হচ্ছে এলাকা। ঘাটাল পুরসভা এলাকায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে দু’টি পাম্প হাউসের জন্য ওয়ার্ক অর্ডার করা হয়েছে। বর্ষার পরেই কাজ শুরু হবে। একাধিক নদীতে ড্রেজিং হবে। শিলাবতী নদীর বাম পাড় ৩.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ গার্ডোয়াল নির্মাণ হবে। সেজন্য মানুষকে উচ্ছেদ না করে বিকল্প পথে জমি চাই। ৮৪টি নতুন কাজের জন্য মাটি পরীক্ষা-সহ একাধিক কাজ চলছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব কৃষকের জমি ডুবে গিয়েছে, ফসল নষ্ট হয়ছে তাদের জন্য শস্যবিমা স্কিম রয়েছে। জল কমলেই সার্ভে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata banerjee) সংযোজন, কেন্দ্র নদী ভাঙন রোধে টাকা দেয় না। ১০০ দিনের কাজের টাকাও রাজ্যকে দিতে হয়। গ্রামীণ রাস্তাও করতে হয় রাজ্যকে। এ বছর ৫১ হাজার লক্ষ কিউবিক মিটার জল ছেড়েছে। ২০ বছর ড্রেজি়ং করেনি।