দেবব্রত বাগ, ঝাড়গ্রাম: আজ মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata banerjee) ঝাড়গ্রাম সফর ঘিরে হাতি-সতর্কতায় জোরদার ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় করে রেখেছে বন দফতর। সূত্রের খবর, আজ বুধবার সড়কপথে ঝাড়গ্রামে আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata banerjee)। শহরের সারদাপীঠ মোড় থেকে পাঁচমাথা মোড় পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনের মিছিলে পা মেলাবেন মুখ্যমন্ত্রী। কাল, বৃহস্পতিবার তিনি বিশ্ব আদিবাসী দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর নির্বিঘ্ন করতে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এলাকার বন্য হাতির দল। বন দফতর সূত্রে জানা যায়, বিশেষ করে ঝাড়গ্রাম-লোধাশুলি রোড ও সংলগ্ন ৫ নম্বর রাজ্য সড়কে মাঝেমধ্যেই হাতির আনাগোনা লেগে থাকে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাপথে কোনওভাবেই যেন বন্য হাতি বিঘ্ন না ঘটায়, সেই কারণেই তৈরি করা হয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়। এই ত্রিস্তরীয় ব্যবস্থার প্রথম স্তরে থাকবে ‘ট্র্যাকার্স টিম’ যারা হাতির অবস্থান সম্পর্কে আগাম খবর দেবে। দ্বিতীয় স্তরে থাকবে বন দফতরের মনিটরিং টিম, যার নেতৃত্বে থাকবেন রেঞ্জ অফিসার-সহ বনকর্মীরা। এই স্তরেই মোতায়েন হবেন সর্বাধিক সংখ্যক কর্মী। এর জন্য ৬-৭ অগাস্ট জেলার প্রতিটি রেঞ্জ অফিসের কর্মীদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। সবশেষে, যদি আগের দুই স্তরের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, তবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে তৃতীয় স্তরের ‘ট্রাঙ্কুলাইজ় টিম’। যারা ঘুমপাড়ানি গুলি ব্যবহার করে হাতিকে নিয়ন্ত্রণে আনবে। তবে বনাধিকারিকদের ধারণা, এই চূড়ান্ত স্তরের ব্যবস্থার প্রয়োজন পড়বে না। সোমবার বন দফতর জানায়, ঝাড়গ্রাম ডিভিশনে বর্তমানে ৫৯টি হাতি রয়েছে। এর মধ্যে ঝাড়গ্রাম রেঞ্জে রয়েছে ২৭টি হাতি। খড়্গপুর ডিভিশনে রয়েছে ৪৪ এবং মেদিনীপুরে ১৮টি। ঝাড়গ্রামের আশপাশে গড়শালবনি ও জিতুশোল এলাকায় বছরভর হাতির চলাচল লেগে থাকে। বিশেষ করে রাতের অন্ধকারে হাতির দল লরি থামিয়ে খাবারের খোঁজ চালায়। তাই বন দফতর ও প্রশাসন নিয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা।