ভার্মা-কাণ্ডের পর হাইকোর্টের আরেক বিচারপতিকে কড়া তোপ সুপ্রিম কোর্টের

‘ক্ষমার অযোগ্য ভুল’

Must read

প্রতিবেদন : দুর্নীতি ইস্যুতে ইম্পিচমেন্টের মুখে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত ভার্মা। এরমধ্যেই হাইকোর্টের আরও এক বিচারপতিকে নিয়ে প্রশ্ন তুলল খোদ সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। হাইকোর্টের এক বিচারপতির যোগ্যতা নিয়েই সংশয় প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। ঘটনাচক্রে, তিনিও এলাহাবাদ হাইকোর্টেরই বিচারপতি। বাকি কর্মজীবনে ওই বিচারপতিকে আর কোনও ফৌজদারি মামলা শুনতে দেওয়া যাবে না বলে নজিরবিহীন নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এমন কড়া নির্দেশ এর আগে কখনও হয়নি।

এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি প্রশান্ত কুমার সম্প্রতি এক দেওয়ানি মামলায় ফৌজদারি প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমতি দিয়েছিলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, দেওয়ানি মামলার ফয়সালা হতে দীর্ঘ সময় লাগে। তার চেয়ে দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায় সেজন্য ফৌজদারি প্রক্রিয়া শুরু করা হোক। হাইকোর্টের বিচারপতির এমন আজব, বেআইনি সিদ্ধান্তে বিস্মিত সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, হাইকোর্টের বিচারপতির ওই নির্দেশ তাঁদের দেখা সবচেয়ে খারাপ এবং ভুল নির্দেশের মধ্যে একটি। হাইকোর্টের এই বিচারপতির ফৌজদারি মামলা শোনার যোগ্যতা আদৌ রয়েছে কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শেষপর্যন্ত শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, যতদিন বিচারপতি কুমার কর্মরত থাকবেন, তাঁকে কোনও দিন কোনও ফৌজদারি মামলা দেওয়া যাবে না। তিনি ডিভিশন বেঞ্চে বসলে তখনও তাঁর সঙ্গে হাইকোর্টের কোনও অভিজ্ঞ বিচারপতিকেই রাখতে হবে।

আরও পড়ুন-হিরোশিমায় মার্কিন পরমাণু বোমা কি পার্ল হারবার আক্রমণের প্রতিশোধ? ইতিহাস এখনও রহস্যময়

হাইকোর্টের এই বিচারপতির ভূমিকায় অসন্তুষ্ট সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) বলে, তিনি শুধু আত্মমর্যাদাই নষ্ট করেননি, বিচারব্যবস্থাকেও হাস্যাস্পদ করে তুলেছেন। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, দেশের বিচারব্যবস্থায় হাইকোর্ট স্তরে কী পরিমাণ ঘাটতি রয়েছে, তা আমরাও বুঝে উঠতে পারছি না। বহিরাগত প্রভাব অথবা আইনের তোয়াক্কা না করার ফলেই এসব ঘটছে। এই ধরনের ভুল ক্ষমার অযোগ্য।

Latest article