প্রতিবেদন : সম্প্রতি দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারীকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। ইতিমধ্যেই সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন ফোরাম দেশজুড়ে দু’দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘট পালন করেছে। ব্যাঙ্ক বেসরকারীকরণের খবরে আমানতকারীসহ বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্যসভার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ জহর সরকার জানতে চান, দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারি হাতে গেলে সরকারের কী লাভ? ওই দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বিভিন্ন সম্পদ ও অন্যান্য বিনিয়োগের মূল্য কোন পদ্ধতিতে নির্ধারণ করা হবে? গ্রাহক ও ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের স্বার্থরক্ষায় কী পরিকল্পনা?
আরও পড়ুন-কলকাতা ও হলদিয়া বন্দর নিয়ে সংসদে তৃণমূলের প্রশ্ন
প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেন, ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাবে দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কৌশলগত বিলগ্নীকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বেসরকারি বিনিয়োগ হলে আসবে উন্নত মানের প্রযুক্তি। ফলে দক্ষতা বাড়বে। ব্যাঙ্কের কাজে আরও গতি আসবে। সে কারণেই বিলগ্নীকরণের সিদ্ধান্ত। বিলগ্নীকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সবদিকে খতিয়ে দেখছে। গ্রাহক থেকে ব্যাঙ্ককর্মী ও সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের স্বার্থ যাতে সুরক্ষিত থাকে তাতে অগ্রাধিকার থাকবে৷