প্রতিবেদন: ভারতের উপর অন্যায়ভাবে ৫০% জরিমানা চাপিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারত থেকে রফতানি করা পণ্যে ২৭ অগাস্ট থেকে ৫০ শতাংশ শুল্ক বসবে বলে ঘোষণা করেছে মার্কিন সরকার। এর কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিদেশ দফতর এই সিদ্ধান্তকে অন্যায় ও অযৌক্তিক বলে দাবি করেছে। মার্কিন চাপেও রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক অব্যাহত থাকার কথা বলেছে নয়াদিল্লি। তবে এরপরেও ভারতীয় রফতানিকারীদের পক্ষ থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে, শুল্কবৃদ্ধির জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বেন এদেশের ব্যবসায়ীরা। তাঁদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করুক কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন-বিজেপি-কমিশনের কারচুপি ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক
এদেশের রফতানিকারী সংস্থাগুলির সংগঠন বৃহস্পতিবার সংবাদ সংস্থা এপি-কে জানিয়েছে, ট্রাম্পের শুল্কনীতির জেরে ভারত থেকে আমেরিকায় রফতানি ব্যবসার উপর ৫৫ শতাংশ প্রভাব পড়বে। যেসব দেশের উপর কম শুল্ক চাপানো হয়েছে, ক্ষতির মুখে পড়বে তারা। এক্ষেত্রে আমেরিকায় পণ্য রফতানিকারী একাধিক দেশের সংস্থার সঙ্গে কঠিন প্রতিযোগিতায় নামতে হবে ভারতকে। বহুক্ষেত্রে সেই দেশগুলি বাড়তি সুবিধা পাবে। অন্যদিকে মার খাবে এদেশ থেকে যাওয়া বেশ কিছু পণ্যের রফতানি।
ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতি এস সি রালহান বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, এই হারে বর্ধিত শুল্ক মেনে নেওয়া যায় না। আমেরিকা ভারতের থেকে দামি জহরত, গয়না, কাপড়, সামুদ্রিক মাছ এবং গাড়ির যন্ত্রাংশ কেনে। চড়া শুল্কের জেরে সেসব ব্যবসা এবার ধাক্কা খেতে পারে বলে আশঙ্কা ভারতীয় বণিকমহলের। উল্টোদিকে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশ, ভিয়েতনামের মতো দেশ বাণিজ্যিকভাবে উপকৃত হবে। এই দেশগুলি থেকে আমদানি করা পণ্যে কম শুল্ক আরোপ করেছে আমেরিকা। ফলে আমেরিকায় পণ্য রফতানির প্রতিযোগিতায় সেই দেশগুলি ভারতকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা এদেশের বণিকমহলের।