প্রতিবেদন : হঠাৎ কেন নবান্ন অভিযান? বিজেপির ডাকা কর্মসূচিতে কেন যোগ দিচ্ছেন নির্যাতিতার বাবা-মা? তদন্ত করেছে সিবিআই। তবে নবান্ন যাচ্ছেন কেন? বাম-বিজেপিরই বা কেন এই দ্বিচারিতা? বিচার পাইনি বলে কেন মিথ্যাচার? ১০ দফা প্রশ্ন তৃণমূলের।
আরও পড়ুন-রাসমণি বা সাঁতরাগাছিতে সভা করুন, পাশে প্রশাসন
১. ঘটনার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ।
২. আদালতের নির্দেশে তদন্তে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া সঞ্জয় রাইকেই মূল এবং একমাত্র অপরাধী বলে জানিয়ে কোর্টে পেশ করেছে সিবিআই।
৩. এই ঘটনায় প্রমাণিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন-কলকাতা পুলিশ সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তদন্ত করেছিল।
৪. নির্যাতিতার বাবা-মা সিবিআই চেয়েছিলেন। আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তারাই চার্জশিট দিয়েছে। অপরাধীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তবে নির্যাতিতা বিচার পায়নি বলছেন। কতটা সঠিক?
৫. নির্যাতিতার বাবা-মা সঙ্গে বাম-বিজেপি সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিল। তদন্তে খুশি নন বাবা-মা। অথচ বিজেপির সঙ্গে নবান্ন অভিযান করছেন! যাদের সঙ্গে অভিযান করছেন, তাদের নির্দেশেই চলে সিবিআই। তাহলে? কেন সিজিও কমপ্লেক্স (সিবিআই দফতর) অভিযান নয়?
৬. কেন একবার সিপিএম একবার বিজেপির চক্রান্তের ফাঁদে পড়ছেন তাঁরা?
৭. দিল্লিতে গেলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। কারা নিয়ে গেল? অমিত শাহ কেন দেখা করেননি? রাষ্ট্রপতি কেন সময় দেননি? কেন প্রধানমন্ত্রী দেখা করেননি? কেন সিবিআই ডিরেক্টর দেখা করলেন না? তবে আপনি নবান্ন অভিযানের ডাক দিচ্ছেন কাদের প্ররোচনায়? কাদের পৃষ্ঠপোষকতায়? কাদের উদ্দেশ্য সাধন করার জন্য?
৮. যে সিবিআইয়ের তদন্তে আপনারা খুশি নন, সেই সিবিআইয়ের মালিক বিজেপির সঙ্গে নবান্ন অভিযান! মিলছে না।
৯. আরজিকরের ঘটনায় সকলেই মর্মাহত। আপনাদের মেয়ে খুন হয়েছে। এই ঘৃণ্য অপরাধে ফাঁসি সবার আগে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সকলেই নির্যাতিতার বাবা-মায়ের বুকের যন্ত্রণা বুঝি। আপনাদের বুকে আগুন জ্বলছে। কিন্তু তবু কেন আপনারা নিজেদেরকে ব্যবহার করতে দিচ্ছেন বিজেপি-সিপিএমের হাতে! ট্রায়াল কোর্ট-হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্টে ট্রায়াল হয়েছে। আজ মিডিয়াতে বেরোচ্ছে-এটা হয়নি ওটা হয়নি। সিবিআই তদন্তে আপনাদের আইনজীবীরা সওয়াল করেছেন। দেশের সেরা আইনজীবীরা ছিলেন। তারপরেও বাম-বিজেপির মিথ্যাচার? কেন বিজেপির পাল্লায় পড়ছেন?
১০. আদালতের নির্দেশে আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত করেছে সিবিআই। বিচারক রায় দিয়েছেন। তিনি যাবজ্জীবন দেবেন না মৃত্যুদণ্ড সেটা তাঁর ব্যাপার। আমরা চেয়েছিলাম ফাঁসি। কিন্তু এই ঘটনার বিচার হয়নি একথা বলবেন না।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
একেবারে শেষে তৃণমূল কংগ্রেস কিছুটা সতর্ক করেছেন মৃতার বাবা-মাকে। বিজেপি তাঁদের নিয়ে রাজনীতি করছে। প্রয়োজনে তারা যতটা পারা যায় নিচে নামবে। ভিড়ের মধ্যে ঠেলে দিয়ে, বিপাকে ফেলে, আহত করে ব্রেকিং নিউজ চালানোর প্রবল পরিকল্পনা থাকতে পারে। অসুস্থ হতে পারেন। সেই কারণে প্ররোচনায় পা না দিয়ে তাঁদের উচিত বিজেপির রাজনৈতিক অভিযান থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখা।