ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা বাতিল করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প 

তাঁর আপত্তি উড়িয়ে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করেনি ভারত। এই ক্ষোভে নয়াদিল্লির উপর উচ্চহারে জরিমানা চাপিয়েছেন ট্রাম্প।

Must read

প্রতিবেদন: তাঁর আপত্তি উড়িয়ে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করেনি ভারত। এই ক্ষোভে নয়াদিল্লির উপর উচ্চহারে জরিমানা চাপিয়েছেন ট্রাম্প। আর আমেরিকায় রফতানি করা ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর এবার ভারতের সঙ্গেও বাণিজ্য আলোচনা বাতিল করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর ফলে গত দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা এক বিরল চেহারা নিতে চলেছে। ট্রাম্পকে যখন ওভাল অফিসে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেন যে তিনি কঠোর শুল্ক ঘোষণার পর আরও আলোচনার আশা করছেন কি না, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাফ জানান, যতক্ষণ না আগেরটির সমাধান হচ্ছে, ততক্ষণ নয়।

আরও পড়ুন-বিচার পায়নি বলে কেন এই মিথ্যাচার, তদন্তে সিবিআই, তাহলে কেন নবান্ন অভিযান, ১০ প্রশ্ন, জবাব দিক বাম-বিজেপি

ঘটনাচক্রে, ট্রাম্প যখন এই মন্তব্য করেন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেন রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের জন্য এককভাবে শুধু ভারতকেই নিশানায় পরিণত করা হচ্ছে? অন্য দেশগুলিও তো রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি কেনা অব্যাহত রেখেছে। এই প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প ফের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্য করা দেশগুলির উপর নতুন করে দ্বিতীয় পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। বুধবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করে ভারতের আমদানির উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ বাণিজ্য শুল্ক আরোপ করেছেন। এর আগে তিনি রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনা নিয়ে সতর্ক করেছিলেন। এই নতুন শুল্ক আরোপের ফলে মোট শুল্কের পরিমাণ ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে। নতুন এই শুল্কহার ২৭ অগাস্ট থেকে কার্যকর হবে। এই শুল্কবৃদ্ধির প্রতিক্রিয়ায় ভারতের বিদেশমন্ত্রক ইতিমধ্যেই এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে এটিকে অন্যায়, অযৌক্তিক এবং অন্যায্য বলে অভিহিত করেছে। ভারত জানিয়েছে যে তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কেন্দ্রের বক্তব্য, আমরা এই বিষয়গুলিতে আমাদের অবস্থান ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছি, যা আমদানি বাজারের কারণগুলির উপর ভিত্তি করে ভারতের ১.৪ বিলিয়ন মানুষের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সামগ্রিক লক্ষ্য নিয়ে করা হবে।

Latest article