এসপ্ল্যানেড এবার মেট্রো রুটের (Metro route) সংযোগস্থল হতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে ভিড় তাই রাজ্য সরকার ধর্মতলায় মাল্টি-মোডাল ট্রান্সপোর্ট হাব তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুরো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা রাইটস। এই অবস্থায় শহরের জনবহুল ও রাজনৈতিকভাবে যেকোন স্পর্শকাতর এলাকায় ভিড়, যান চলাচল এবং রাজনৈতিক কর্মসূচি করা নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে চাইছে লালবাজার। ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেল চত্বরে একটি কন্ট্রোল কমান্ড পোস্ট তৈরী করতে চলেছে কলকাতা পুলিশ। প্রথম দিকে হেয়ার স্ট্রিট থানার অধীনে একটি ছোট দোতলা কন্ট্রোল পোস্টের পরিকল্পনা করা হলেও পরে অন্য চিন্তা করা হয়েছে। প্রায় ১০ হাজার বর্গফুট জায়গার জন্য পরিবহণ দফতরের কাছে আর্জি জানিয়েছে লালবাজার। ডেপুটি কমিশনারের ঘর, ব্যারাক, অফিসারদের ঘর, মহিলা পুলিশদের থাকার জায়গা, ভিজিটর রুম, সব মিলিয়ে পুলিশের ৯৫৪০ বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন আছে।
আরও পড়ুন-‘ক্যাট কুমার’ এবার বিড়ালের নামে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেটের আবেদন বিহারে
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, ধর্মতলার মতো এলাকায় ট্রান্সপোর্ট হাব তৈরি হলে মানুষের ভিড়ের সাথে গাড়ির চাপও বাড়বে। বেসমেন্ট পার্কিং, বাসের প্রতীক্ষালয়, আন্ডারপাস তৈরী হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিক্ষোভ কর্মসূচির জন্য জায়গাও দেওয়া হবে। যেকোন ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে আগেভাগে প্রস্তুতি নিতে চাইছে পুলিশ। আপাতত দু’জন ওসি-র জন্য আলাদা ঘর, রিজার্ভ অফিস, অফিসারদের জন্য বসার ঘর, মহিলা পুলিশ কর্মীদের জন্য আলাদা ব্যারাক—সব থাকবে।
আরও পড়ুন-বই খুলে পরীক্ষা! আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই নয়া নিয়ম সিবিএসই-র
গত পাঁচ বছরে এই এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৯৮টির বেশি রাজনৈতিক কর্মসূচি হয়েছে। মাল্টি-মোডাল হাব হলে সাধারণ মানুষের ভিড় অনেকটাই বাড়বে। কিছু ঘটলে পুলিশ যাতে দ্রুত পৌঁছতে পারে, তাই তৈরি করা হচ্ছে এই কন্ট্রোল পোস্ট। ধর্মতলা চত্বরের জমির মালিকানা পরিবহণ দফতরের হাতে তাই পরিবহণ দপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে লালবাজারের তরফে। পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী যদিও জানিয়ে দিয়েছেন মানুষের সুরক্ষা সবার আগে। সবরকমভাবে সহযোগিতা করতে দফতর প্রস্তুত।