বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme court) বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ এবং নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) সম্পর্কিত মামলার শুনানি ছিল। কয়েকদিন ধরেই বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে। আগামী ২২ অগস্ট, শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। এদিন বিহারের ভোটার তালিকা থেকে ৬৫ লক্ষ নাম বাদ দেওয়ার ঘটনা নিয়ে কড়া নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত নির্বাচন কমিশনকে স্পষ্ট জানিয়ে দিল সমস্ত বাদ পড়া নাম ও বাদ দেওয়ার কারণ কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
আরও পড়ুন-ডায়মন্ড হারবারে কোনও ভুয়ো ভোটার নেই, তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
বিচারপতি কান্ত এই বিষয়ে জানিয়েছেন নাগরিকদের নিজস্ব সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। যে কোনও সমস্যার জন্য সব সময় রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের পিছনে দৌড়তে হবে কেন? যদি ২২ লক্ষ মানুষ মারা গিয়ে থাকেন, তা হলে বুথ পর্যায়ে সেটা কেন প্রকাশ করা হচ্ছে না? যদি এই পরিসংখ্যান জনসমক্ষে আসে, তাহলেই তো বিতর্কের অবসান হয়। বিচারপতি বাগচী এই বিষয়ে বলেন, স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে তালিকা থেকে নাম মুছে ফেলার কোন অনুমোদন নেই। কেন নাম বাদ গিয়েছে সেটা জানার মৌলিক অধিকার নাগরিকদের আছে। এর জন্য সর্বাধিক প্রচার প্রয়োজন এবং গোটা প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা চাই। জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের সমাজমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট থাকলে সেখানেও বিজ্ঞপ্তিটি পোস্ট করতে হবে। নামের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হোক। যদি বিএলও দফতরের সামনে নামের তালিকা ঝোলানো হয় তবে সেটা ওয়েবসাইটে নয় কেন? যে ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে ওয়েবসাইটে সেসব প্রকাশ করতে হবে।”
আরও পড়ুন-নবান্ন অভিযানে পুলিশকে মারধর কাণ্ডে গ্রেফতার আরও ১
প্রসঙ্গত, বিহারের ভোটার তালিকার ‘স্পেশ্যাল ইনটেনসিভ রিভিশন’ (SIR) প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া একাধিক জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে এই মামলাটি ছিল। আদালত জানায়, অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে জেলার ওয়েবসাইটে একটি তালিকা প্রকাশ করতে হবে যেখানে খসড়া তালিকায় না থাকা ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম থাকবে। প্রত্যেকের নাম বাদ দেওয়ার কারণও উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। শীর্ষ আদালতের স্পষ্ট অবস্থান ভোটাধিকার মৌলিক নাগরিক অধিকার, সেটা যেন কোনমতেই অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
এই শুনানির পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লেখেন, ”বিরাট জয়!!
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, আধার কার্ডকেও গ্রহণ করতে হবে SIR-এ..
দেশের বিরোধীরা আরো একবার গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে দিলো মোদী অমিত শাহের জুটির হাত থেকে। বাঁচিয়ে দিল সাধারণ মানুষের মাটি আর মাতৃভূমির প্রতি অধিকারকে। নতমস্ত প্রণাম জানাই জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
“দুঃস্বপ্নে আতঙ্কে, রক্ষা করিলে অঙ্কে, স্নেহময়ী তুমি মাতা…”