তুহিনশুভ্র আগুয়ান, দিঘা: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে উৎসবের আমেজে ভাসল দিঘার জগন্নাথধাম। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাবতিথি উপলক্ষে উৎসবমুখর গোটা দিঘা। প্রথমবার দিঘার জগন্নাথধামে অনুষ্ঠিত হল জন্মাষ্টমী। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন এসে ভিড় জমিয়েছেন সৈকত শহরে। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সারাদিন ধরে বিভিন্ন আচার-উপাচারে জগন্নাথধাম-চত্বরে তৈরি হল এক অপরূপ আধ্যাত্মিক পরিবেশ। শনিবার সকাল ৬টায় ভক্তদের জন্য জগন্নাথধামের দ্বার খুলে যায়। মঙ্গলারতির মাধ্যমে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। চলে ধর্মকথা ও নাম-গানের আসর। তারই মাঝে বসে শাস্ত্রীয় নৃত্যের আসর। সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ রাধাকৃষ্ণকে ভোগ মণ্ডপে নিয়ে গিয়ে দুধ, মধু, ঘি-সহ ১০৮ তীর্থক্ষেত্রের জলে স্নান করানো হয়। দুপুর ১২টা নাগাদ দেওয়া হয় বিশেষ রাজভোগ। মেনুতে ছিল বিভিন্ন ধরনের নারকেল-নাড়ুর ও নানাবিধ সুস্বাদু মিষ্টি। জন্মাষ্টমীকে কেন্দ্র করে রঙিন আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠেছে গোটা জগন্নাথধাম-চত্বর।
আরও পড়ুন-বাদল সরকারের শতবর্ষে বিশেষ সংখ্যা
রাত দশটা থেকে শুরু হয় শ্রীকৃষ্ণের বিশেষ অভিষেক পর্ব। অংশগ্রহণ করেন দেশ-বিদেশের ভক্তরা। সাড়ে এগারোটা নাগাদ ইসকনের তরফে দেওয়া নতুন পোশাকে সাজিয়ে তোলা হয় রাধাকৃষ্ণকে। ঘড়িতে বারোটা বাজার কয়েক সেকেন্ড আগে আচমকা নিভে যায় জগন্নাথধামের সব আলো। আবার বারোটা বাজলেই শ্রীকৃষ্ণের পূণ্য জন্মতিথিতে পুনরায় রঙিন আলো জ্বলে ওঠে গোটা জগন্নাথধামে। শাস্ত্রীয় মন্ত্রোচ্চারণ ও খোল-করতালের ধ্বনিতে তৈরি হয় জন্মাষ্টমীর আবহ। শ্রীকৃষ্ণকে অর্পণ করা হয় ১০০৮টি নারকেল নাড়ু-সহ প্রায় একশোরও বেশি পদ। জগন্নাথধাম ট্রাস্টের সদস্য তথা কলকাতা ইসকনের সহ-সভাপতি রাধারমণ দাস বলেন, রাজ্যের বাইরে থেকেও জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বহু মানুষ এসেছেন। আমরা সমস্ত সনাতনী রীতিনীতি মেনেই জন্মাষ্টমী পালন করছি। সকাল থেকেই চলছে বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় কার্যক্রম।