ফের একবার বিপর্যয়ের মুখে ভূস্বর্গ। জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ফলে নামল হড়পা বান। কিস্তওয়ারের পর এবার কাঠুয়া জেলায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টি এবং হড়পা বানে জলের স্রোতে ভেসে কমপক্ষে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার মধ্যরাত থেকে রবিবার ভোরের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলার একটি গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টি শুরু হয়। লাগাতার বৃষ্টিতে হড়পা বান আসার ফলে ভেসে যায় গ্রামের একাংশ। রেললাইন থেকে শুরু করে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কও হড়পা বানে ভেসে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হলেও সংখ্যা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। আহত আরও অনেকে। বহু মানুষ জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-বিজেপির ওড়িশায় জমি নিয়ে অশান্তিতে ছেলের গায়ে পেট্রল ঢেলে খুন
জীতেন্দ্র যাদব, জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুরের সাংসদ, জানিয়েছেন, মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে একটি পুলিশ স্টেশন, ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ও রেলওয়ে ট্র্যাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। সেনা ও প্যারামিলিটারি ফোর্সও উদ্ধার অভিযানে নেমেছে। প্রসঙ্গত, আবহাওয়া দফতর ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে। কাঠুয়া জেলায় আজ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। নদী, নালার তীরে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা বজায় রাখতে বলা হয়েছে। ধস প্রবণ এলাকাগুলিও এড়িয়ে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, নদীর জলস্তর বেড়ে হড়পা বান ও ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায় হেল্পলাইন নম্বরগুলিও প্রকাশ করা হয়েছে 01922-238796 এবং 9858034100।
আরও পড়ুন-জলভিত্তিক খেলার প্রসারে তৈরি হচ্ছে নয়া অ্যাকাডেমি
ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বেশিরভাগ জলাশয়ের জলস্তর তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। উজ নদী বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে। এই সপ্তাহে, জম্মু ও কাশ্মীরের কিস্তেওয়ারে মেঘ ভাঙনের ফলে বন্যায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। ১৪ আগস্ট মাচাইল মাতা মন্দিরে বার্ষিক তীর্থযাত্রার জন্য চিসোটিতে বিপুল সংখ্যক মানুষ যখন জড়ো হয়, সেই সময় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। কমপক্ষে ৮২ জন এখনও নিখোঁজ। যাত্রাটি ২৫ জুলাই শুরু হয়েছিল এবং ৫ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। ৯,৫০০ ফুট উঁচু এই মন্দিরে পৌঁছানোর ৮.৫ কিলোমিটার পথ চিসোটি থেকে শুরু হয়, যা কিস্তেওয়ার শহর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে।