জনবিরোধী, বাংলাবিরোধী, গরিব বিরোধী, সংবিধান বিরোধী বিজেপি: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

সোমবার মুখোমুখি হয়ে 'এসআইআর' (SIR) এর তীব্র প্রতিবাদ জানাল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

Must read

সোমবার মুখোমুখি হয়ে ‘এসআইআর’ (SIR) এর তীব্র প্রতিবাদ জানাল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি বলেন, “সরকার হাইকোর্টের নির্দেশ মানছে না, কারণ তারা চায় না বাংলার গরিব মানুষরা টাকা পাক। এই জন্যই আমরা বলি, এরা জনবিরোধী, বাংলা-বিরোধী সরকার।”

আরও পড়ুন-শ্রীনগর যাওয়ার পথে সেনা জওয়ানকে খুঁটিতে বেঁধে মার যোগীরাজ্যের টোল বুথ কর্মীদের

এসআইআর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ”লক্ষ লক্ষ মৃত ভোটারের নাম রয়েছে ভোটার তালিকায়। ওই তালিকার ভিত্তিতেই নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তাহলে যদি সত্যিই এসআইআর করতে হয়, আগে লোকসভা ভাঙো। পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে বিরোধীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে হবে না। কোথাও কোন গরমিল বা ভুল থাকলে সুও মোটো কোগনিজেন্স নিয়ে ইনকোয়ারি করে পরিবর্তন করা যেতে পারে। আমি দিল্লী যাওয়ার আগেরদিন বলে গিয়েছি যে ইলেকশন কমিশন বলছে যে গরমিল আছে এসআইআর প্রয়োজন, আমি যদি সেই যুক্তিকে সঠিক ধরি তাহলেও আমার মনে হয় যে এক বছর আগে যে লোকসভা নির্বাচন হয়েছে সেটা এই তালিকার ভিত্তিতে হয়েছে তাহলে আগে সেখান থেকে পদত্যাগ করা উচিত। মানুষ যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ না করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন-গুজরাটে সুইফ্ট-এসইউভির সংঘর্ষে গাড়িতেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত ৮

১০০ দিনের টাকা প্রসঙ্গে ফের সরব অভিষেক। বলেন, ”১লা অগাস্ট থেকে ১০০ দিনের টাকা শুরু করতে হবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি ছিল বাংলাকে যেভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে সেই পাওনা আগে মেটাতে হবে। আগের টাকা না মিটিয়ে সরকার সুপ্রিম কোর্টে চলে গেল। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে। গত তিন-চার বছর ধরে ১০০ দিনের কাজে বাংলাকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। হাইকোর্ট ফের বাংলায় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে বলেছে। সেটা আটকাতে এবার কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে গেছে। তবে কেন্দ্রকে এই প্রকল্পে আগের বকেয়া টাকাও পশ্চিমবঙ্গকে দিতে হবে। বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করতেই কেন্দ্র এই পথে হাঁটছে। এই কারণেই আমরা বিজেপিকে বাংলা-বিরোধী বলি।” এরপরেই কমিশনের দেওয়া নোটিস নিয়ে তিনি বলেন, “কমিশন বলছে সাত দিনের মধ্যে হলফনামা না দিলে কোনও দাবির গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। আমি পাল্টা বলছি বিহারে ৬৫ লক্ষ নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, কমিশন হলফনামা দিয়ে বলুক—একটা নাম ভুল থাকলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ইস্তফা দেবেন কি? নির্বাচন কমিশন মেনে নিয়েছে যে মৃত লোকের নাম আছে। তাহলে যাদের তত্ত্বাবধানে ২০২৪ এর ভোট হল তাদের আগে দেখে জেলে ঢোকানো উচিত।”

নির্বাচন কমিশন বিজেপির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে, এমনটাই অভিযোগ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া হুঁশিয়ারি দেন, ”যেভাবে বিজেপি ও নির্বাচন কমিশন মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে সেটা অনৈতিক। এক সপ্তাহের মধ্যে এফিডেফিট জমা দেওয়ার কথা বলছে কমিশন। এফিডেফিট কেন দেবে, সেটা কমিশনেরই দায়িত্ব। বাংলায় জোর করে যদি একজনের নামও ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়, তবে এক লক্ষ বাঙালিকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। তাতে বাংলার শক্তি বুঝে যাবে কেন্দ্র। জোর করে একটা নামও বাদ দিলে আন্দোলনের মাধ্যমে বুঝিয়ে দেব বাংলা কী করতে পারে।”

Latest article