একটানা প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লি-মুম্বই

Must read

প্রতিবেদন: একটানা প্রবল বর্ষণে (Heavy Rainfall) বিপর্যস্ত দেশের রাজধানী এবং বাণিজ্যিক রাজধানী। শুক্রবার থেকে বিরামহীন বৃষ্টিতে জলের তলায় চলে গিয়েছে বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের বহু গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ত অঞ্চল। খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না অনেক রাস্তা। বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল-কলেজ। শুধু মুম্বই নয়, লাগোয়া বহু এলাকাও দুর্যোগের কবলে। পরিস্থিতি এতটাই বিপজ্জনক যে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া নগরবাসীকে বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করেছে বৃহন্মুম্বই পুলিশ কমিশনার। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কুরলা, চেম্বুর, আন্ধেরির পাশাপাশি বিভিন্ন শহরতলি এলাকায়। কোথাও হাঁটুজল, কোথাও কোমর পর্যন্ত ডুবে যাচ্ছে জমা জলে। জলের নীচে হারিয়ে যাচ্ছে রেললাইনও। স্বাভাবিকভাবেই বিপর্যস্ত রেল চলাচল। তীব্র যানজট রাস্তায়। একই ছবি মহারাষ্ট্রের আরও বেশ কিছু অংশ। বাণিজ্যনগরীতে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। বজ্রবিদ্যুতের সঙ্গে ৫০ কিমি বেগে ঝড়ও যে কোনও মুহূর্তে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। এদিকে, মহারাষ্ট্রের মারাঠওয়াড়া অঞ্চলের মুখাড় তালুকায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টির পর নান্ডেড় জেলা থেকে নিখোঁজ পাঁচজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।আইএমডি তাদের সর্বশেষ পূর্বাভাসে মুম্বাই, থানে এবং রায়গড় জেলার জন্য আগামী দুই দিনের জন্য ‘রেড’ অ্যালার্ট জারি করেছে। জল জমার কারণে আন্ধেরি সাবওয়ের উভয় লেনই যানবাহন চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মুম্বাই ট্র্যাফিক পুলিশ জানিয়েছে যে এখন থেকে যানবাহন থ্যাকারে ব্রিজ এবং গোখলে ব্রিজ দিয়ে ঘোরানো হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, ভাকোলা ব্রিজ, হায়েট জাংশন এবং খার সাবওয়েতেও জল জমেছে, যার ফলে যান চলাচল ধীর হয়ে গেছে। আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, দুর্ভোগ চলতে পারে ২৩ অগাস্ট পর্যন্ত। মুম্বাই ছাড়াও, ভারী বৃষ্টির কারণে কর্ণাটক, কেরালা, জম্মু ও কাশ্মীর এবং চণ্ডীগড়েও স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে। সোমবার নান্ডেড় জেলার মুখাড় তালুকায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টি (Heavy Rainfall) হওয়ায় এই অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। কারণ পার্শ্ববর্তী কর্ণাটকের নদীগুলো থেকে জল প্রবাহিত হয়েছে।

আরও পড়ুন-ভারত-চিন বৈঠক: মতপার্থক্য যেন বিবাদ না হয়, বললেন জয়শঙ্কর  

Latest article