প্রতিবেদন: বাদল অধিবেশনের শেষ পর্বের প্রথম দিনেও সংসদ কাঁপালো তৃণমূল (TMC)। সোমবার সংসদের ভেতরে ও বাইরে বেশ চাপে ফেলে দিল মোদি সরকারকে। রীতিমতো দায়িত্বশীল ভূমিকায় দেখা গেল লোকসভায় তৃণমূল দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বাংলা ভাষার অসম্মান ও বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিদের উপরে অত্যাচারের প্রতিবাদে এদিন সংসদ চত্বরে তৃণমূল কংগ্রেসের ধরনায় নেতৃত্ব দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, লোকসভায় দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁরই নির্দেশে এদিন সংসদের মকর দ্বারের সামনে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদরা৷ তাঁদের হাতে ছিল পোস্টার, বাংলার অপমান মানছি না মানবো না৷ এর পরে ভোট চুরির ইস্যুতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পুরোভাগে ছিলেন অভিষেক৷ পাশে ছিলেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। স্লোগান তোলেন, ভোট চোরি বন্ধ কর। গলা মেলান অন্যান্য বিরোধী সাংসদরাও৷ অধিকাংশ সংসদের হাতে ছিল প্রতীকি হলফনামা৷
আরও পড়ুন-কমিশনের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মহুয়া
এই কর্মসূচির পাশাপাশি এদিন সংসদের বাদল অধিবেশনেও এসআইআর ইস্যুতে সোচ্চার হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ লোকসভায় সরাসরি অভিযোগ তোলেন, নির্বাচন কমিশন পালাতে চাইছে বিরোধীদের তোলা প্রশ্নের কোনও জবাব না দিয়েই। কমিশন বিরোধীদের কাছে কেন হলফনামা চাইছে, কারণ বিরোধীরা ভোটার তালিকার ত্রুটি ধরছে৷ নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে হলফনামা দিক নির্বাচন কমিশন, সংসদে দাঁড়িয়েই দাবি জানান অভিষেক৷ সোমবার সংসদ ভবনে দলের পার্টি অফিসে বসে তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে একান্তে মিনিট ১৫ বৈঠক করেন অভিষেক৷ দলের সাংসদ মিতালি বাগের শারীরিক অবস্থা নিয়ে খোঁজখবর নেন। নির্বাচন কমিশনে ঘেরাও অভিযানের দিনই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন আরামবাগের সাংসদ মিতালি। এদিন লোকসভা মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পরে তৃণমূল কার্যালয়ে অভিষেকের সঙ্গে দেখা করেন ফৈজাবাদের সমাজবাদী পার্টির সাংসদ অবধেশ প্রসাদ। অভিষেককে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
এদিকে রাজ্যসভাতেও তৃণমূল সাংসদরা ছিলেন রীতিমতো আক্রমণাত্মক। এস আই আর নিয়ে আলোচনা চেয়ে নোটিশও দেওয়া হয় তৃণমূল (TMC), আপ এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। সরকার সেই দাবি মানেনি। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন অভিযোগ করেন, বিজেপি সংসদের অধিবেশনকে ভাসিয়ে দিয়েছে। রাজ্যসভা এদিন দু’বার মুলতুবি হয়ে যায়।