মহারাষ্ট্রে বাংলায় কথা বলতেই তাড়া শ্রমিকদের, পালিয়ে বাঁচলেন বিষ্ণুপুরের জহিরউদ্দিন, ফেরাতে উদ্যোগী অভিষেক

Must read

প্রতিবেদন : বাংলায় কথা বললেই বিজেপির রাজ্যে ভয়ঙ্কর অত্যাচারের মুখে পড়তে হচ্ছে বাংলা শ্রমিকদের। নাগপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক পরিযায়ী শ্রমিকের মুখে বাংলা কথা শুনে তাড়া করল বিজেপির পুলিশ প্রশাসন। কোনওরকমে পালিয়ে বাঁচলেন তিনি। এরপর সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek banerjee) উদ্যোগে তাঁকে উদ্ধার করে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-হিটলারি আঘাত: ‘গণতন্ত্র হত্যাকারী’ সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় গর্জে উঠলেন তৃণমূল নেত্রী

বিজেপি-রাজ্য মহারাষ্ট্রের নাগপুরে তিনমাস আগে দর্জির কাজে গিয়েছিলেন জহিরউদ্দিন ফকির। বাড়ি ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিষ্ণুপুরের দক্ষিণ গৌরীপুর গ্রামে। বাংলায় কথা বলায় বেশ কিছুদিন ধরেই মহারাষ্ট্রের পুলিশ তাঁকে টার্গেট করেছিল। তাড়া খেয়ে পালিয়ে পালিয়ে কাটাচ্ছিলেন জহিরউদ্দিন। ভিনরাজ্যে কর্মরত ছেলেকে নিয়ে তীব্র আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ওই এলাকার ১৬-১৭ জন গিয়েছিলেন কাজে। গত দু-তিন সপ্তাহ ধরে তাঁরা বাড়ির বাইরে বেরোতে পারছিলেন না। রাস্তায় বা দোকানে বাংলায় কথা বললেই পুলিশকে খবর দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ এসে মারধর করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলায় কথা বলার জন্য তাদের বাংলাদেশি বলে দেগে দেওয়া হচ্ছে‌। তারপর ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হচ্ছে। বৈধ কাগজপত্র দেখিয়েও নিস্তার নেই। কয়েকদিন আগে কারখানা থেকে এক কিলোমিটার দূরে বাজার করতে গিয়ে ছিলেন শ্রমিকরা। বাংলায় কথা বলায় পুলিশ এসে বাংলাভাষী কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়। পুলিশের তাড়া খেয়ে কোনওরকমে পালিয়ে বাঁচেন জহির উদ্দিন। তারপর পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন তিনি। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek banerjee) খবর পেয়ে জহিরউদ্দিন ফকির-সহ পরিযায়ী শ্রমিকদের নাগপুর থেকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেন। তাদের কাজ করিয়ে মজুরি আটকে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির রাজ্যে তাঁরা একপ্রকার বন্দিদশায় কাটাচ্ছে বলে অভিযোগ জহির উদ্দিনের জেঠু জাহাঙ্গীর হোসেন ফকির, মা আমিনা বিবি ও বাবা জাকির হোসেন ফকিরের।

Latest article