তৃণমূলের প্রতিবাদে উত্তাল লোকসভা, মার্শাল নামিয়ে লোকসভায় বিল পেশ করতে হল শাহকে

Must read

প্রতিবেদন : গেরুয়া কেন্দ্রের স্বৈরাচারী বিলের প্রতিবাদে উত্তাল সাংসদ। বিরোধীদের তুমুল চিৎকার-চেঁচামেচি এবং স্লোগানের মধ্যেই কোনওরকমে মার্শাল নামিয়ে ৩টি বিতর্কিত বিল পেশ করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিলের প্রতিলিপি ছিঁড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকে ছুঁড়ে দেন বিরোধী সাংসদেরা। দেশের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক সংবিধান-বিরোধী পদক্ষেপ করছে মোদি সরকার৷ এবার তাদের চক্রান্তের হাতিয়ার তিনটি বিল৷ বিলগুলোর বিধান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী-সহ অন্য মন্ত্রীদেরও পদ থেকে অপসারণ করা যাবে যদি তাঁরা টানা ৩০ দিন হেফাজতে থাকেন। এই তিনটি বিল— দ্য কনস্টিটিউশন (১৩০তম অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, দ্য গভর্নমেন্ট অফ ইউনিয়ন টেরিটরিজ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল এবং জম্মু ও কাশ্মীর রিঅর্গানাইজেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল— পেশ করার সঙ্গে সঙ্গে বিরোধীরা তাদের আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় এবং বিলের প্রতিলিপি ছিঁড়ে ফেলে। বিরোধীরা এই আইনগুলোকে স্বৈরাচারী আখ্যা দিয়ে দাবি করেন, সরকার এই বিলগুলি ব্যবহার করে মন্ত্রীদের এবং মুখ্যমন্ত্রীদের নির্বিচারে গ্রেফতার করে বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলিকে অস্থিতিশীল করে তুলবে। অমিত শাহ যখন বিলগুলিকে একটি যৌথ কমিটির কাছে পরীক্ষার জন্য পাঠানোর প্রস্তাব দিচ্ছিলেন, তখন বিরোধী সাংসদরা বিলের প্রতিলিপি ছিঁড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকে ছুঁড়ে দেন। ছবিতে দেখা যায় ছেঁড়া কাগজের টুকরো মন্ত্রীর কাছে পড়ছে।

আরও পড়ুন-কাপুরুষের মতো বিল পেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর: চ্যালেঞ্জ ছুড়ে গর্জে উঠলেন অভিষেক

বিরোধীদের সাফ কথা, যদি কোনও মন্ত্রী গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হন, তবে তাঁকে অপসারণ করার কোনও বিধান নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভার ওয়েলে নেমে স্লোগান দেন সংবিধান মত তোড়ো, মোদি সরকার গদ্দি ছোড়ো৷ তাঁর সুরে সুর মিলিয়ে প্রতিবাদ জানায় গোটা বিরোধী শিবির৷ শাহর সঙ্গে তর্কাতর্কি বেধে যায় কংগ্রেসের কেসি বেণুগোপালের। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে লোকসভা কক্ষের ভিতরে মার্শাল নামিয়ে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী৷ তৃণমূল-সহ বিরোধীদের সাফ কথা, সরকারের অবস্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে লাগাতার প্রতিবাদ জারি রাখবে বিরোধী শিবির।

Latest article