সল্টলেকে প্রাক্তন বিচারপতির আইনজীবী ছেলে আক্রান্ত, পাল্টা অভিযোগ পুলিশের

প্রাক্তন বিচারপতির ছেলে ও নাতিকে রাস্তায় ফেলে মারের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বিধাননগর (Salt Lake)।

Must read

প্রাক্তন বিচারপতির ছেলে ও নাতিকে রাস্তায় ফেলে মারের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বিধাননগর (Salt Lake)। ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রবীণ আইনজীবীও। পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) মামলার রুজু করা হয়েছে। তবে, বিধাননগরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অনীশ সরকার জানিয়েছেন ঘটনায় আক্রান্ত পুলিশও। দুতরফেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-কলকাতার বুকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ‘বাংলাদেশী’ ও ‘রোহিঙ্গা’ বলে হেনস্থার অভিযোগ

সল্টলেকের এ কে ব্লকে প্রাক্তন বিচারপতি রণেন্দ্র নারায়ণ রায়ের ছেলে মনুজেন্দ্র নারায়ণ রায় ও তাঁর ছেলে সৌরীন্দ্র নারায়ণ রায়ের মধ্যে বুধবার রাত সাড়ে দশটার পরে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে গাড়ি নিয়ে আসা নিয়ে কথা হচ্ছিল। গাড়ির দিকে যাওয়ার সময় হঠাৎ সাদা পোশাকে থাকা দুই ব্যক্তি সৌরীন্দ্রকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। কিন্তু তাঁরা নিজেদের পরিচয় দেননি। কারণ জিজ্ঞাসা করলে অকারণে ভয় দেখিয়ে হঠাৎ আক্রমণ শুরু হয় বলে অভিযোগ। সৌরীন্দ্রর অভিযোগ, তাঁকে ঘুষি মেরে গলা চেপে ধরা হয়। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখানো হয়। এরপরই ASI তুষার চন্দ্র কুমার তাঁকে মাটিতে ফেলে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে থাকেন। মনুজেন্দ্র ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছেলেকে বাঁচাতে গেলে তিনিও হামলার শিকার হন। অভিযোগ, তাঁকেও লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয়। হামলায় তাঁর বাঁ দিকের পেলভিক হাড়ে চিড় ধরা পড়েছে। তিনি সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসধীন।

আরও পড়ুন-স্বামীর সামনেই অগ্নিদগ্ধ মহিলা! বেহালায় বাড়ি থেকে উদ্ধার দেহ

এর পরেই হোম সেক্রেটারি, পুলিশ কমিশনার ও বিধাননগর ইস্ট থানায় লিখিত অভিযোগ জানান সৌরীন্দ্র। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবারই দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়েছে।

এই বিষয়ে বিধাননগরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অনীশ সরকার জানান, ”সল্টলেকে অনেক চুরির ঘটনার অভিযোগ পাওয়া যায়। সেই কারণে পুলিশি চেকিং চলে। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অধিকার কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীর আছে। সেই মতোই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনার তদন্ত চলছে।”

Latest article