মোদিরাজ্যে স্কুলে ছাত্র খুন, অভিযুক্তর সঙ্গে বন্ধুর কথোপকথন প্রকাশ্যে

অভিযুক্ত পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কতটা নৈরাজ্যের পরিস্থিতি থাকলে ছাত্র অবস্থায় এই ধরণের আচরণ করা যায়।

Must read

গুজরাতের (Gujrat) আহমদাবাদে অষ্টম শ্রেণির পড়়ুয়ার হাতে দশম শ্রেণির পড়ুয়ার খুনের ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য দেশজুড়ে। স্কুলের সামনে দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। এখানেই শেষ নয়, ঘটনার পরেই অভিযুক্ত পড়ুয়ার এক বন্ধু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে গোটা ঘটনাটি জানতে চায়। অভিযুক্ত পড়ুয়াকে সে জানায় একেবারে মেরে ফেলা উচিত হয়নি সেই ছাত্রকে। অভিযুক্ত পড়ুয়া এবং তার বন্ধুর কথোপকথন ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে এসেছে।

আরও পড়ুন-নোরা ফতেহির মতো ফিগারের লোভে স্ত্রীকে জোর করে শরীরচর্চা করিয়ে গর্ভপাত শিক্ষকের

মঙ্গলবার অহমদাবাদের খোখরার একটি স্কুলে দুই পড়ুয়ার কথা কাটাকাটির পরই একজনের বিরুদ্ধে আর একজনকে খুনের অভিযোগ ওঠে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত পড়ুয়া ছুরি নিয়ে স্কুল থেকে কিছুটা দূরে দশম শ্রেণির পড়ুয়ার উপর হামলা চালায় সে। তার পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ওই অবস্থায় দশম শ্রেণির ওই পড়ুয়া ছুটতে শুরু করলেও কিছুটা যাওয়ার পরই রাস্তায় পড়ে যায়। স্থানীয়েরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে বুধবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন-সল্টলেকে প্রাক্তন বিচারপতির আইনজীবী ছেলে আক্রান্ত, পাল্টা অভিযোগ পুলিশের

স্বাভাবিকভাবেই পড়ুয়ার মৃত্যুর পরই আহমদাবাদের খোখরা এলাকা উত্তাল হয়ে ওঠে। স্কুলের সামনে কয়েকশো মানুষ এবং পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা বিক্ষোভ দেখান এবং এর জেরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিভাবকেরা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন। স্কুলে ভাঙচুরও চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। অভিযুক্ত পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কতটা নৈরাজ্যের পরিস্থিতি থাকলে ছাত্র অবস্থায় এই ধরণের আচরণ করা যায়।

Latest article