নিরাপত্তা একেবারেই তলানিতে। ফের একবার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী থাকল দিল্লি (Delhi)। বাড়ি থেকে উদ্ধার হল মাঝবয়সি এক দম্পতি এবং তাঁদের ২৪ বছরের ছেলের থেঁতলানো, রক্তাক্ত দেহ। তবে উধাও বাড়ির অন্য এক সদস্য। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ, নিজের বাবা, মা ও দাদাকে খুন করে পলাতক বাড়ির ছোট ছেলে। দিল্লির ময়দানগড়ির খারক গ্রামে হঠাৎ করেই বন্ধ বাড়ি থেকে পরিবারের তিন সদস্যের এমন ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন-মোদিরাজ্যে স্কুলে ছাত্র খুন, অভিযুক্তর সঙ্গে বন্ধুর কথোপকথন প্রকাশ্যে
বন্ধ বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে বাড়ির দরজা ভেঙে দেখে দরজার কাছেই মেঝেতে পড়ে রয়েছে ৫০ বছরের প্রেম সিং ও ২৪ বছরের ছেলে ঋত্বিকের দেহ। বাড়ির দোতলা থেকে উদ্ধার হয় ৪৫ বছরের রজনী সিংয়ের দেহ। তিনটি দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল এবং নৃশংস ভাবে থেঁতলানো ছিল। স্থানীয়রা পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই দম্পতির ছোট ছেলে সিদ্ধার্থ সিংও থাকতেন তাঁদের সঙ্গে। কিন্তু সিদ্ধার্থের কোনও খোঁজ পাওয়া যায় নি। অনুমান করা হচ্ছে ছুরি দিয়ে গোটা দেহে আঘাতের পরে ইট পাথর দিয়ে একাধিক বার থেঁতলানো হয়েছে প্রেম সিং, ঋত্বিক সিং ও রজনী সিংকে। রজনীর মৃতদেহ হাত ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হয়। দেহের পাশ থেকেই উদ্ধার হয়েছে ইট ও পাথরের টুকরো। ইতিমধ্যেই ফরেন্সিক ডিপার্টমেন্ট সেখান থেকে হাতের ছাপ সংগ্রহের চেষ্টা করছে। ঘটনাস্থল থেকে বাকি নমুনাও সংগ্রহ করছেন ফরেন্সিকের আধিকারিকরা। বাড়িটি সিল করে মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-নোরা ফতেহির মতো ফিগারের লোভে স্ত্রীকে জোর করে শরীরচর্চা করিয়ে গর্ভপাত শিক্ষকের
সূত্রের খবর, সিদ্ধার্থের মানসিক সমস্যা ছিল এবং গত ১২ বছর ধরে ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান বিহেভিয়ার অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সেস (IHBAS)-এ চিকিৎসা চলছিল তাঁর। বাড়ি থেকে সিদ্ধার্থ সিংয়ের কিছু প্রেসক্রিপশন উদ্ধার করেছে পুলিশ। দেখা গিয়েছে, সিদ্ধার্থর অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার-এর সমস্যা রয়েছে। কিছুদিন আগেই সিদ্ধার্থ একজনকে জানিয়েছেন ময়দানগড়ির বাড়িতে তিনি আর থাকবে না। তাই সব দিক খতিয়ে দেখে খোঁজ চলছে সিদ্ধার্থ সিংয়ের।