বিজেপি সরকারের রিপোর্ট তলব করল পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্ট

Must read

প্রতিবেদন: বাংলাভাষীদের অযৌক্তিক ধরপাকড় এবং তাঁদের সঙ্গে অমানবিক আচরণের বিষয়ে কড়া অবস্থান নিল পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্ট (Punjab-Haryana high Court)। উচ্চ আদালত প্রশ্ন তুলল, অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করার জন্য হরিয়ানা সরকারের কোনও নির্দিষ্ট পদ্ধতি আদৌ আছে কি? হরিয়ানা সরকারকে হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে তা অবিলম্বে জানাতে হবে আদালতকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত কোনও নথি আছে কি না তা রেকর্ড আকারে আদালতে পেশ করতে হবে হরিয়ানা সরকারকে। যদি তা না পারে তারা তবে হরিয়ানা সরকারকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, এ-বিষয়ে তাদের কোনও সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি নেই। একটি জনস্বার্থ মামলায় এই নির্দেশ উচ্চ আদালতের। পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টের এই নির্দেশে ব্যাপক চাপে পড়ে গিয়েছে হরিয়ানার বিজেপি সরকার।

আরও পড়ুন-সংসদীয় গণতন্ত্র, নিরপেক্ষতা রক্ষায় অগ্রাধিকার: রেড্ডি

হরিয়ানার গুরগাঁওয়ে সম্প্রতি বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের উপরে নেমে এসেছে গেরুয়া পুলিশের অমানবিক নির্যাতন। তাঁদের আটকে রাখে গুরগাঁও পুলিশ। প্রত্যেকেই পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। বাংলাভাষীদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে গর্জে ওঠে তৃণমূল। দলের সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল গুরগাঁওয়ে গিয়ে নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়ান। এই আবহেই একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টে (Punjab-Haryana high Court)। মামলাকারীদের আইনজীবী অভিযোগ করেন, ভাষাগত সংখ্যালঘু কিছু মানুষকে ধরে এনে অবৈধ অভিবাসীর তকমা দিয়ে তাঁদের হেনস্থা করছে গুরগাঁও পুলিশ। অথচ তাঁদের কাছে আধার কার্ড, এপিক, রেশনকার্ড-সহ নাগরিকের যাবতীয় প্রমাণপত্র রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ এবং স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত আটক হওয়া ব্যক্তিদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। এসব দেখেও তাঁদের ধরপাকড় করছে পুলিশ। বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টারে আটকে রেখে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে তাঁদের সঙ্গে। অনেকক্ষেত্রেই ২০০ থেকে ৩০০ জনের এক-একটি দলকে আটকে রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্য বা আইনজীবীদের সঙ্গে দেখাই করতে দেওয়া হয়নি তাঁদের। মামলাকারীদের আর্জি, অবৈধ অধিবাসীদের চিহ্নিত করতে একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি চালু করার নির্দেশ দিক আদালত।

Latest article