প্রতিবেদন : ছাব্বিশের ভোটের আগে বাংলায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারি শুরু করেছেন মোদি-শাহরা। ফের পরিযায়ী পাখির মতো বাংলায় রাজনৈতিক পর্যটক হয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সফরের মধ্যে তাঁকে পঞ্চবাণ ছুঁড়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রীকে ট্যাগ করে তৃণমূল (TMC) লিখেছে— বাংলা আপনার নাটকের মঞ্চ নয়। যদি সাহস থাকে তাহলে বাঙালির মনের জ্বলন্ত ৫ প্রশ্নের উত্তর দিন।
প্রশ্ন ১ : কোন অধিকারে সংবিধানের ১৩০তম সংশোধনী বিল আনতে চাইছে কেন্দ্র? যেখানে ৫,৮৯২টি মামলার মধ্যে ইডি গত ১০ বছরে দোষী সাব্যস্ত করেছে ৮টিতে। কনভিকশন রেট ০.১৩ শতাংশ। ২৫ জন বিরোধী নেতার মধ্যে ২৩ জন বিজেপিতে যোগ দিতেই তদন্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছে! বিজেপির ২৪০ জন সাংসদের মধ্যে ৯৪ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের মামলা রয়েছে, যাঁদের মধ্যে ৬৩ জন আবার গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত! মোদি মন্ত্রিসভায় ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। ১৯ জনের বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ, মহিলাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ-সহ নানা বিষয়ের মামলা রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে এই নয়া দমন-পীড়নের বিল আনার মাধ্যমে বিরোধীদের যে টার্গেট করা হবে সে উদ্দেশ্য একেবারেই স্পষ্ট।
প্রশ্ন ২ : যে ভোটার তালিকার ভিত্তিতে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন হল তাতে কী ত্রুটি ধরা পড়ল যে স্পেশ্যাল ইনটেনসিভ রিভিসন জরুরি হয়ে পড়ল? আর যদি ত্রুটিপূর্ণ ইলেক্টরাল রোলে ভোট হয়ে থাকে তাহলে তো সেই ভোটারদের ভোটে নির্বাচিত হওয়া নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রী থাকার অধিকারই নেই! সেক্ষেত্রে মন্ত্রীদের পদত্যাগ করা উচিত, লোকসভাও ভেঙে দেওয়া উচিত।
প্রশ্ন ৩ : দিল্লি পুলিশ বলেছে বাংলা হচ্ছে বাংলাদেশি ভাষা। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেছেন, বাংলা নামে কোনও ভাষা নেই। বাংলা ভাষার এত বড় অপমান কি আপনারা সমর্থন করেন? উত্তরটা যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে মোদি বা বিজেপিকে কি দেশবিরোধী বলা যায় না? মনে রাখবেন, ন্যাশনাল অ্যান্থেম ও ন্যাশনাল সং— দুটিই বাংলা ভাষায় লেখা।
প্রশ্ন ৪ : আপনারা বলেছেন ‘বিকশিত ভারত’ সম্ভব নয় ‘বিকশিত বাংলা’ ছাড়া। তাহলে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে কেন প্রত্যেকটা মুহূর্তে বঙ্গভাষীদের হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে? কেন বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে? এর জবাব কে দেবে?
প্রশ্ন ৫ : কেন্দ্রের কাছে বাংলার বকেয়া ১ লক্ষ ৯৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। মনরেগা, আবাস যোজনা, গ্রাম সড়ক যোজনার পর জল জীবন মিশনেও টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এগুলোও কি রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণতা নয়?
আরও পড়ুন- বড় খবর, পুজোয় সর্বোচ্চ বোনাস পাবেন চা-শ্রমিকেরা