৫ বছরে চাকরি হারিয়েছেন লক্ষাধিক সরকারি কর্মী, বেসরকারীকরণই কারণ, তথ্য দিয়ে জানাল কেন্দ্র

গত মঙ্গলবার লোকসভায় লিখিত জবাবে সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী যে তথ্য পেশ করেন, তাতে মাথায় হাত পড়বে বিজেপির।

Must read

প্রতিবেদন : মোদি-রাজে বিগত পাঁচ বছরে চাকরি হারিয়েছেন লক্ষাধিক কর্মী। সম্প্রতি লোকসভায় এমনই তথ্য দিল কেন্দ্র। গত মঙ্গলবার লোকসভায় লিখিত জবাবে সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী যে তথ্য পেশ করেন, তাতে মাথায় হাত পড়বে বিজেপির। সংসদে পেশ করা তথ্য-পরিসংখ্যানে জানা গিয়েছে, ২০১৯-’২০ সাল থেকে ২০২৪-’২৫ সাল পর্যন্ত ৯ লক্ষ ২০ হাজার স্থায়ী কর্মীর চাকরি গিয়েছে। কী কারণে সরকারি কর্মীদের চাকরি হারাতে হয়েছে তার জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেসরকারীকরণকেই দায়ী করেন। অর্থাৎ কেন্দ্রের বেসরকারীকরণের নীতি সরকারি কর্মীদের বেকার করে ছেড়েছে। কেন্দ্র বিলগ্নীকরণ ও বেসরকারীকরণের কোপে চাকরি কেড়ে নিয়েছে লক্ষাধিক কর্মীর।

আরও পড়ুন-মঞ্চে দুর্নীতিগ্রস্ত-নারীনিগ্রহকারী, মোদি শেখাচ্ছেন নীতিকথার পাঠ!

তামিলনাড়ুর এক বিরোধী সাংসদ সংসদে জানতে চেয়েছিলেন, সেন্ট্রাল পাবলিক সেক্টর এন্টারপ্রাইজ বা সিপিএসই-র বেসরকারীকরণের ফলে গত পাঁচ বছরে কত মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। তফসিলি জাতি, জনজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির কত মানুষই বা চাকরি হারিয়েছেন। জবাবে তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, কেন্দ্রের নিয়মিত কর্মচারীর সংখ্যা ২০১৯-’২০ সালে ছিল ৯.২ লক্ষ। ২০২৩-’২৪ সালে কেন্দ্রের নিয়মিত কর্মচারীর সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৮.১২ লক্ষ। এই অঙ্কই বলছে কেন্দ্রীয় সংস্থায় কাজ হারিয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। এই কাজ হারানোর ধারা পাঁচ বছর ধরেই জারি ছিল। ২০২০-’২১ সালে হয় ৮.৬ লক্ষ। ২০২১-’২২ সালে তা দাঁড়ায় ৮.৩৯ লক্ষ। এই সময়ের মধ্যে তফসিলি জাতি ও জনজাতি কর্মীদের সংখ্যাও হ্রাস পায়। তবে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির বা ওবিসি কর্মীচারীর সংখ্যা সামান্য বাড়ে। এদিকে পিরিওডিক লেবার ফোর্স সার্ভের মাসিক রিপোর্ট বলছে, গত ১৫ বছরে দেশের বেকারত্বের হার ছিল ৫ শতাংশের বেশি। আর গড় বার্ষিক বেকারত্বের হার সবচেয়ে কম ৩.২ শতাংশ ছিল গত ২০২২-’২৩ সালে।
উল্লেখ্য, মোদির আমলে রেল থেকে বিমান, কয়লা থেকে এলআইসি— বিকেন্দ্রীকরণের পথে হেঁটেছে কেন্দ্র। এমনকী সৈনিক স্কুলও বেসরকারীকরণ হয়েছে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপি মডেলে দেশে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সৈনিক স্কুল তৈরি হয়েছে। সার্বিকভাবে প্রায় সব ক্ষেত্রেই কমবেশি বেসরকারীকরণ হয়েছে। তার ফলস্বরূপ কোপ পড়েছে কর্মীদের উপর।

Latest article