প্রতিবেদন: এদেশে বাড়ছে অর্থনৈতিক বৈষম্য ও সম্পদের কেন্দ্রীকরণ। মুষ্টিমেয় কিছু পরিবার দেশের সিংহভাগ সম্পদের নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠছে। এই আর্থ-সামাজিক বিভেদ সমাজে বিভাজন আরও বাড়াচ্ছে।
এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বৈষম্য স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। গ্লোবাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম বার্নস্টাইনের প্রতিবেদন অনুসারে, দেশের মোট সম্পদের প্রায় ৬০ শতাংশই মাত্র ১ শতাংশ পরিবারের হাতে রয়েছে।
আরও পড়ুন-আগ বাড়িয়ে ট্রাম্পের ঘোষণায় জল ঢেলে দিল ক্রেমলিন?
এই কেন্দ্রীভূত সম্পদের কারণে ভারতে ধনীরা আরও ধনী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতিবেদনটিতে ‘অতি ধনী’ হিসাবে বিবেচিত পরিবারগুলির মধ্যে রয়েছে আল্ট্রা হাই নেট ওয়ার্থ ইন্ডিভিজুয়ালস, হাই নেট ওয়ার্থ ইন্ডিভিজুয়ালস, এবং অ্যাফ্লুয়েন্ট ক্লাস। যদিও এই পরিবারগুলি দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশ, কিন্তু তাদের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে ভারতের মোট সম্পদের প্রায় ৬০ শতাংশ এবং আর্থিক সম্পদের ৭০ শতাংশ। বার্নস্টাইন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের মোট পারিবারিক সম্পদের মূল্য ১৯.৬ ট্রিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ১১.৬ ট্রিলিয়ন ডলার এই অতি ধনী গোষ্ঠীর হাতে রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ সম্পদ এখনও রিয়েল এস্টেট এবং সোনার মতো অপ্রচলিত খাতে বিনিয়োগ করা আছে। বাকি ১১.৬ ট্রিলিয়ন ডলারের মধ্যে মাত্র ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার পরিষেবাযোগ্য আর্থিক সম্পদ যেমন ডাইরেক্ট ইকুইটি, মিউচুয়াল ফান্ড, ইন্স্যুরেন্স, এবং ব্যাঙ্ক বা সরকারি আমানত হিসেবে রয়েছে। এই ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলারের পরিমাণকে সম্পদ ব্যবস্থাপকদের জন্য ‘সার্ভিসেবল অ্যাড্রেসেবল মার্কেট’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। এই অতি ধনীদের উত্থান পেশাদার সম্পদ ব্যবস্থাপকদের চাহিদা বাড়াচ্ছে। ক্রমবর্ধমান প্রত্যাশা এবং পণ্যের জটিলতার কারণে পেশাদার পরামর্শের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। বার্নস্টাইন-এর অনুমান অনুযায়ী, আগামী দশকে বিশেষায়িত সম্পদ ব্যবস্থাপকদের তত্ত্বাবধানে থাকা সম্পদের পরিমাণ ৩০০ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ১.৬ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে, যা ১৮ শতাংশের বেশি চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।