প্রতিবেদন: তৃণমূলের পথেই এবার অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। ইতিমধ্যে তৃণমূল ঘোষণা করেছে, মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীকে জেলে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়ে আনা সংবিধান সংশোধনী বিলের জেপিসিতে তৃণমূল সাংসদরা থাকবেন না। এবার সেই একই সিদ্ধান্ত নিল সপা-ও। ফলে জেপিসি নিয়ে অস্বস্তি বেড়েছে বাম ও কংগ্রেসের। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃতীয় মোদি সরকারের জমানায় যতগুলি বিল এসেছে, বিরোধীদের চাপে পড়ে সেগুলি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর ‘নাটক’ করেছে মোদি সরকার। যদিও লোকদেখানো জেপিসি গঠিত হলেও বিরোধীদের প্রস্তাবগুলিকে আদৌ মান্যতা দেওয়া হয়নি। ওয়াকফ আইন থেকে ব্যক্তিগত তথ্যের অধিকার আইন সংক্রান্ত বিলের ক্ষেত্রে জেপিসিতে একবারও মানা হয়নি বিরোধীদের বক্তব্য।
আরও পড়ুন-ভারতে সম্পদের কেন্দ্রীকরণ: অতি ধনী ১% ভোগ করছে দেশের ৬০% সম্পদ
আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া জেপিসিকে কার্যত অকেজো করে দিয়েছে কেন্দ্রের স্বৈরাচারী সরকার। কৌশলে নিজেদের সাংসদদের মাধ্যমে সংশোধনী এনে তা জেপিসির সিদ্ধান্ত বলে চালিয়েছে। ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল এনে কালাকানুন জারির চেষ্টায় একইভাবে জেপিসিকে শিখণ্ডি করার চক্রান্ত হচ্ছে। দাবি বাংলার শাসকদল তৃণমূলের। সেজন্য এই সংক্রান্ত জেপিসি তৈরি হলে সেই কমিটিতে তৃণমূলের কোনও সদস্য থাকবে না, জানানো হল দলের তরফে। সংসদীয় কমিটি সাধারণত বিজেপির সাংসদদের দ্বারাই পরিচালিত হয়। ওয়াকফ আইনের ক্ষেত্রে সেই কমিটির বৈঠকগুলিতে বিজেপি সাংসদ থেকে জেপিসির চেয়ারম্যান বিরোধীদের প্রস্তাবগুলিতে কান দেননি বলে অভিযোগ। ফলে মোদি জমানায় জেপিসিগুলি যে নজর ঘোরানোর নাটক, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।