প্রথমে গিয়েছিলেন কেরল (Kerala), তারপর নাকি দুবাই, বাংলার পরিযায়ী যুবকের জীবনে চরম অনিশ্চয়তা। তিনি কোথায় রয়েছেন, কেমন আছেন, পুরো বিষয়টাই তাঁর পরিবারের কাছে এই মুহূর্তে ধোঁয়াশা। কাজে গিয়ে ছেলে বন্দি হয়ে আছে কিনা এই নিয়েও রীতিমত চিন্তায় পরিবার। ঠিক কী ঘটেছিল? বহুদিন ধরেই ছেলের কোন খোঁজ না পেয়ে অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। ছেলেকে খুঁজতে জানিয়েছেন আবেদন।
আরও পড়ুন-মধ্যরাতে যোগীরাজ্যে ট্রাক্টরের সাথে কন্টেনারের ধাক্কায় মৃত ৮, আহত ৪৫
সুরজিৎ আদিত্য বাংলার বাসিন্দা। কেরলে সোনার কাজে গিয়েছিলেন। প্রথমে সব কিছু ঠিকই ছিল। কিন্তু হঠাৎ গত মে মাসে বাড়ির লোকের কাছে একটি ফোন আসে। ফোনে দাবি করা হয়, কেরলে সুরজিৎ যে সোনার দোকানে কাজ করতেন তিনি সেই দোকানের মালিক। এরপরই কেরলের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য পাঠিয়ে ওই ব্যক্তি ষাট লক্ষ টাকা দাবি করেন। ওই ব্যক্তি জানান সুরজিৎকে নাকি তিনি ১৫ দিন ধরে আটকে রেখেছেন।
আরও পড়ুন-ঠাকুরবাড়ি করায়ত্ত করতে চান বিজেপি সাংসদ, স্বার্থের সংঘাত
তবে ছেলের বিষয়ে এই কথা শোনার পরেও পরিবার টাকা দিতে অস্বীকার করে। পরে তাঁরা জানতে পারেন এরই মাঝে নাকি কোনও ভাবে সুরজিৎ দুবাই চলে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও বিদেশে যোগাযোগ সম্ভব হয় নি। বিপাকে পড়েই অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সুরজিতের পরিবার। শুধু তাই নয়, ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানান তারা। তাঁদের আর্জি, UAE-এর দূতাবাস পর্যন্ত যেতে তারা পারবেন না কোনমতেই। গত সপ্তাহে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি উঠেছে। শুনানির সময় কেন্দ্রের আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন, তাঁরা এই গোটা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। দুবাইয়ের জেলে সত্যি ওই যুবক জেলবন্দি কি না সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।