প্রতিবেদন : ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত শ্রমশ্রী প্রকল্প নিয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করল রাজ্য সরকার। শ্রম দফতর এ-ব্যাপারে জেলা থেকে ব্লক স্তরের আধিকারিকদের কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। যাতে প্রকৃত ও উপযুক্ত প্রার্থীরাই শ্রমশ্রী প্রকল্পের সুযোগ পান সে-বিষয়ে বিশেষ সতর্ক রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন-পরিচালন সমিতির নির্বাচনে ছয় আসনেই জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস
প্রকল্পের গাইডলাইন অনুযায়ী প্রত্যেক আবেদনপত্রের সঙ্গে ভিনরাজ্যে কাজ করার প্রমাণপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, অনেক আবেদনকারী হয়তো প্রকৃত পরিযায়ী শ্রমিক না হয়েও ভাতা পেতে আবেদন করতে পারেন। ঠিক এই সম্ভাবনা রুখতেই প্রশাসনিক নজরদারি জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শ্রম দফতর জানিয়েছে, আবেদন যাচাইয়ের ক্ষেত্রে স্থানীয় স্তরে ব্লক আধিকারিক, জনপ্রতিনিধি এবং শ্রম দফতরের কর্মীরা সমন্বয় করে কাজ করবেন। নথিপত্র ছাড়া শুধুমাত্র ‘ঘরে ফেরা’ পরিচয়ের ভিত্তিতে কারও আবেদন যাতে গৃহীত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে আবেদনকারীদের ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার ও অতিরিক্ত নথিপত্র যাচাই করা হবে। প্রসঙ্গত, শ্রমশ্রী প্রকল্পের আওতায় ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকরা আর্থিক সহায়তা ও পুনর্বাসনের সুযোগ পাবেন। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি তাঁদের দক্ষতা উন্নয়ন, ঋণ সুবিধা এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করার দিকেও সাহায্য করবে সরকার। তবে, পরিযায়ী শ্রমিকের ছদ্মবেশে ভুয়ো আবেদনকারীরা সুবিধা নিলে প্রকৃত শ্রমিকরা বঞ্চিত হতে পারেন। তাই প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা বজায় রাখতে এই কড়া নির্দেশ জারি করেছে শ্রম দফতর। দফতরের এক কর্তা বলেন, এই প্রকল্প মূলত তাদের জন্য, যারা বছরের পর বছর রাজ্যের বাইরে শ্রম দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেছেন এবং এখন ফিরেছেন। তাঁদের জীবনধারণে নতুন ভরসা জোগাতেই শ্রমশ্রী। সেই সুযোগ যাতে কেউ অপব্যবহার না করেন, সেদিকেই নজর থাকবে।