প্রতিবেদন: তৃণমূলের দেখানো পথে এবারে জেপিসি (JPC) বয়কট করছে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনাও। উদ্ধব সাফ জানিয়ে দিলেন, এই ধরনের জেপিসিতে কোনওভাবেই অংশ নেবে না শিবসেনা। তাঁর মন্তব্য, চরম হুমকির মুখে গণতন্ত্র।শিবসেনার প্রবীণ নেতা সঞ্জয় রাউত সোমবার দলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন এক্স হ্যান্ডেলে। জেপিসি বয়কটের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তাঁর অভিযোগ, গণতন্ত্রকে ধ্বংস এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারকে ভেঙে দেওয়াই ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনীর আসল উদ্দেশ্য। এখন এই বিল পর্যালোচনা এবং খতিয়ে দেখার অজুহাতে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন আসলে একটা স্টান্ট বা চমক ছাড়া কিছুই নয়। উদ্ধবের শিবসেনার পাশাপাশি এবার কংগ্রেসও জেপিসিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করেছে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক এবং রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, সংবিধান সংশোধনী বিল খতিয়ে দেখার জন্য ৩১ সদস্যের যে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করার কথা, তাতে অংশ নিতে আদৌ ইচ্ছুক নয় কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-সরকারি হুমকি, এরপরই প্রবীণ সাংবাদিকের রহস্যমৃত্যু হল বাংলাদেশে
লক্ষণীয়, জেপিসিতে (JPC) যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রথম ঘোষণা করেছিল তৃণমূলই। দলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন জানিয়েছিলেন, বিজেপি জমানায় জেপিসি মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। এটা এখন সময় নষ্ট করার কৌশল হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ২০১৪-র পর থেকে প্রতিটি জেপিসিতেই বিরোধীদের মতামতকে বুলডোজ করে বিজেপি নিজেদের মতই চাপিয়ে দেয়। এরপরে সেই পথেই হাঁটে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে জেপিসি বয়কটের কথা জানায় তারাও।
তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ করানো সহজ নয় বুঝে এবার পিছনের দরজা দিয়ে দল ভাঙানোর চেষ্টা করতে পারে বিজেপি। বিশেষত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যেভাবে ‘নীতিবোধসম্পন্ন’ বিরোধী সাংসদদের সমর্থনের প্রত্যাশার কথা বলেছেন, তাতে অনেকেই মনে করছেন, বিল পাশ করাতে মরিয়া হয়ে মহারাষ্ট্রের কায়দায় দল ভাঙানোর অনৈতিক চেষ্টা করতে পারে বিজেপি। মতাদর্শগতভাবে বিজেপির একসময়কার কট্টর সমালোচক শশী থারুরের মতো কংগ্রেস সাংসদ গত কয়েক মাস ধরে প্রধানমন্ত্রীর স্তুতি গাইতে শুরু করেছেন। সেই পরিস্থিতি কংগ্রেসের জন্য উদ্বেগজনক। যদিও তৃণমূল সহ বিরোধীরা মনে করছে, পিছনের দরজা দিয়ে ভাঙাগড়ার চেষ্টা সফল হবে না।