মোদি-স্মৃতির ডিগ্রি লুকনো হচ্ছে কেন, প্রশ্ন তৃণমূলের

Must read

প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী ডিগ্রী সার্বজনীন করতে চাইল না দিল্লি হাইকোর্ট। কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনার প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি বিশদে জানতে চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে যে আবেদন করেছিল সোমবার তা খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। একই সঙ্গে স্মৃতি ইরানি ১৯৯১ ও ১৯৯৩ সালে দশম ও দ্বাদশ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন কি না, তা জানানোর আদেশও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে তীব্র সমালোচনায় সরব তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। দলের রাজ্যসভা সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, তথ্যের অধিকার আইনে দেশের সকলের সব কিছু জানার অধিকার আছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেকে বিশ্বগুরু হিসেবে দাবি করছেন। অথচ নিজের ডিগ্রি প্রকাশ্যে আনতে চাইছেন না। কারও প্রথাগত শিক্ষা নাই থাকতে পারে, তা দেশবাসীকে জানাতে অসুবিধে কোথায়। প্রধানমন্ত্রী ডিগ্রি লুকানো কোন যুক্তি নেই। রাজ্যসভা সাংসদ সাগরিকা ঘোষের কটাক্ষ, প্রধানমন্ত্রীর কলেজ ডিগ্রি সরকার কেন লুকিয়ে রাখছে? উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি বিতর্ককে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরেই মামলা চলছিল দিল্লি হাই কোর্টে। নীরজ কুমার নামে এক আরটিআই কর্মী প্রথমে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ১৯৭৮ সালের স্নাতক স্তরের সব পড়ুয়ার নাম, রোল নম্বর, প্রাপ্ত নম্বর, পাশ-ফেল-সহ সমস্ত পড়ুয়ার জানতে চেয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর হলফনামা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ওই বছরেই স্নাতক হয়েছিলেন তিনি। নীরজ কুমারকে তথ্য দিতে অস্বীকার করেছিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপত্তি জানানোর পর কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের কাছে আবেদন জানান নীরজ।

আরও পড়ুন-মেগাস্টার থালাপাতির কঠিন চ্যালেঞ্জ, তামিল ভোটের স্বপ্ন চুরমার বিজেপির

Latest article