জারি উন্নয়ন, তবু ভোট কম কেন? দক্ষিণ ​দিনাজপুর ও জঙ্গিপুর নে​তৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে অভিষেক

Must read

প্রতিবেদন : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) জেলাওয়ারি বৈঠক চলছেই। আজ মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুর এবং জঙ্গিপুর সংগঠনিক জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি। ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিও। দুই জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গেই এদিন একাধিক বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নেতৃত্বকে স্পষ্ট বলা হয়েছে সেখানকার ছটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে তিনটিতে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে, যাবতীয় উন্নয়ন সত্ত্বেও সেখানকার ভোট তৃণমূলের অনুকূলে এল না কেন তার আত্মবিশ্লেষণ এবং প্রয়োজনীয় সমাধান জরুরি। সেখানে আরও বেশি করে দলীয় নেতৃত্বকে-জনপ্রতিনিধিদের সময় দিতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে বিজেপির বিপদ। আরও বেশি করে বুথে বুথে যেতে হবে। জঙ্গিপুর সংগঠনিক জেলা মধ্যে যে ৯টি বিধানসভা রয়েছে তার সব ক’টিতেই জিততে হবে এই প্রত্যয় নিয়েই মাঠে নামতে হবে ২০২৬-এর আগে। নির্দেশ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের (Abhishek Banerjee)।
আর মাত্র কয়েক মাস।
এই বৈঠকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সাত জন নেতৃত্ব অংশগ্রহণ করেন। মন্ত্রী তথা হরিরামপুর বিধায়ক বিপ্লব মিত্র, কুশমন্ডি বিধায়ক রেখা রায়, কুমারগঞ্জ বিধায়ক তোরাফ হোসেন মন্ডল, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অম্বরীশ সরকার, দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল, জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি স্নেহলতা হেমব্রম এবং দক্ষিণ দিনাজপুর আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি নাজিমুর রহমান। জঙ্গিপুর সংগঠনিক জেলার ক্ষেত্রে ছিলেন সভাপতি খলিলুর রহমান, চেয়ারম্যান জাকির হোসেন-সহ অন্যরা। এর আগে অভিষেক নেতৃত্বকে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলস্তরে মানুষের মধ্যে নানা প্রকল্পের মাধ্যমে পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছেন। দুয়ারে সরকার থেকে ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের সমস্যার সমাধান করছেন। বুথে বুথে প্রচুর অর্থ দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়গুলি মানুষের সামনে তুলে ধরার উপদেশ দিয়েছেন। জেলার বিধায়ক-বিধায়িকা-সহ নেতৃত্বদের মানুষের কাছে যেতে হবে। তাঁদের সমস্যা শুনতে বলেছেন। ব্লকস্তরে এমনকী অঞ্চলস্তরেও মানুষের পাশে যেতে হবে তাঁদের সমস্যা শুনতে হবে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। এ ছাড়াও যে-সকল জায়গায় তৃণমূলের সংগঠনিক শক্তি কম রয়েছে সেখানে জোর দেওয়ার উপদেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি আগামীতে নির্বাচনের আগে প্রত্যেকটি ব্লক ও টাউনের নতুন কমিটি গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে যার সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য।

আরও পড়ুন- ধান উৎপাদনে দেশে সেরা বাংলা : মুখ্যমন্ত্রী

Latest article